মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সংগঠনটির উদ্যোগে তিন শত অসহায় শীতার্ত পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) একটি সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন (সিপিএফ)।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সম্মুখ থেকে এ কার্যক্রম এর উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো দিদার-উল-আলম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো ফারুক উদ্দিন, প্রক্টর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর ও সংগঠনটির উপদেষ্টা মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ।
এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংগঠনটির প্রশংসা করে উপাচার্য বলেন, দেশের সেবায় তরুনদের এগিয়ে আসা উচিৎ। ভবিষ্যতে দেশের যেকোন প্রয়োজনে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা সবার আগে এগিয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আলোচনা শেষে অতিথিবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত দরিদ্রদের এবং আশপাশের এলাকার অর্ধশত অসহায় পরিবারের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন। পরবর্তীতে দিনব্যাপী লক্ষ্মীপুর জেলার আলেকজান্ডারে নদীর পাড়ে থাকা হতদরিদ্র পরিবার সমূহের মাঝে কম্বল বিতরণ করে সংগঠনটি। এবং রাত ৮ টায় তারা নোয়াখালীর সোনাপুর রেলস্টেশন থেকে শুরু করে কুমিল্লার শাসনগাছা স্টেশন পর্যন্ত প্রত্যেক স্টেশনে নেমে বস্ত্রহীন পড়ে থাকা অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। এছাড়া আব্দুল মালেক উকিল মেডিক্যালের পাশে থাকা বস্তি এবং নোয়াখালীর বিভিন্ন স্টেশনে অসহায়দের মাঝে এবারের শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে চলো পাল্টাই ফাউন্ডেশন, নোবিপ্রবি।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
সংগঠন সূত্রে জানায়, ২০১৮ সালের শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি শিক্ষা, চিকিৎসা, সামাজিক সচেতনতা, বঞ্চিত শিশু, দুর্যোগ মোকাবেলা ও পরিবেশ এই ছয়টি বিষয়ে কাজ করে আসছে। ইতিমধ্যে তারা দুই শত পঞ্চাশের বেশি অসুস্থ রোগীকে রক্তদান করে এক মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এছাড়া নোয়াখালীর বিভিন্ন অনগ্রসর এলাকার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট দূর করার জন্য ক্লাস নিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছে তারা। এবং প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর বিভিন্ন স্থানে শীতার্তদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ সহ নানা ধরণের স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি এসকে ফয়সাল আহমেদ বলেন, সরকারি খরচে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী হিসেবে দেশের প্রতি আমাদের কিছু দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা এই সংগঠনের উদ্যোগে কিছু সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী কাজ করার চেষ্টা করি। প্রতিবারের ন্যায় এবারো আমরা পূর্বে টোকেন দেওয়ার মাধ্যমে প্রকৃত অসহায়দের খুঁজে তিনশ টি পরিবারের পাশে থেকেছি। দেশের স্বার্থে নিজেদের মেধা ও শ্রম দিতে আমরা সর্বদা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।