আট দফা দাবিসমূহ পেশ : ইউজিসি’র নিকট বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের

বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশন-এর এক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) নিকট আট দফা দাবি সম্বলিত এক স্মারকলিপি পেশ করেন।

ছবি : সংগৃহীত

 

প্রতিনিধি দলটি বৃহস্পতিবার (৫ ই নভেম্বর ২০২০) একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লিখিত স্মারকলিপিটি পেশ করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ড. ফেরদৌস জামান, সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব), ইউজিসি। এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের যুগ্ম-সচিব জাফর আহম্মদ জাহাঙ্গীর, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ শাহ আলম এবং বাংলাদেশ আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ আমিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ফেডারেশন এর মহাসচিব মীর মোঃ মোর্শেদুর রহমান, দাবিসমূহ সম্পর্কে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

ফেডারেশনের দাবিসমূহ হচ্ছে- কর্মকর্তাদের প্রারম্ভিক বেতন স্কেল পূর্ন নির্ধারণ; দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের জন্য অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন; সকল দপ্তর প্রধান সহ নন-টিচিং পদে কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাধ্যতামূলক করণ; কর্মকর্তাদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬৫ বৎসরে উন্নীতকরণ; সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কর্মকর্তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সভায় অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ এবং সিন্ডিকেট, সিনেট ও রিজেন্ড বোর্ডে কর্মকর্তা প্রতিনিধি নিশ্চিতকরণ; দ্রুততম সময়ের মধ্যে ৪% সরল সুদে কর্পোরেট ঋণ প্রদান; কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলককরণ এবং নিয়মিত বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্মকর্তাদের উচ্চশিক্ষার জন্য প্রণীত নীতিমালা বাস্তবায়নকরণ এবং কর্মকর্তাদের অতীত চাকুরীকালের অভিজ্ঞতা গণনা বাস্তবায়নকরণ।

বাংলাদেশ আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশন কর্তৃক পেশকৃত কতিপয় দাবি যৌক্তিক হিসেবে উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের সভাপতি ইউজিসি সদস্য প্রফেসর আবু তাহের বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সরকারি নিয়ম-কানুনের মধ্যে থেকে পেশকৃত দাবিসমূহের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। তিনি আরও বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে রেজিস্ট্রারসহ সকল কর্মকর্তা পদগুলোতে যোগ্যতম কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরদের এক সভায় কমিশনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তিনি নন-টিচিং পদে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব/নিয়োগ দেওয়ার জন্য সহমত পোষণ করেন। বেতন স্কেলের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশে কোথাও আর্থিক স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা হয়নি। সুতরাং কোন বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের মতো করে বেতন স্কেল নির্ধারণ করতে পারেনা। তিনি এও আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, শিক্ষকদের জন্য অভিন্ন নীতিমালা হয়ে গেলে কর্মকর্তাদের জন্যও অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *