২০১৪ সালের পর আবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসতে চলেছে আইপিএলের ত্রয়োদশ আসর। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের কারণে ২০১৪ সালের আইপিএলের প্রথম ২০টি ম্যাচ হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এবার পুরো আসরটিই হতে পারে সেই দেশে। যেমনটা হয়েছিল ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায়।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ের আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছে বোর্ড অব ক্রিকেট কন্ট্রোল ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। তাদের আশা ছিল সেপ্টেম্বরের পর নিজেদের দেশেই আয়োজন করবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসর। কিন্তু কোভিড-১৯ এর প্রভাবে সেটির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
শুক্রবার বিসিসিআইয়ের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকের পর জোরালো হয়েছে এই সম্ভাবনা। এ বৈঠকের মূল এজেন্ডাই ছিল ২০২০ সালের আইপিএলের ভবিষ্যৎ। তবে বৈঠকের পরেও আইপিএল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিসিসিআই। সেই বৈঠকে থাকা বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারতে আইপিএল হওয়ার সম্ভাবনা শূন্যের কোটায়।
হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে বিসিসিআইয়ের সেই সূত্র জানিয়েছে, ‘অ্যাপেক্স কাউন্সিল কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে আলোচনার মাধ্যমে এটি প্রায় নিশ্চিত যে করোনাভাইরাসের প্রভাব যেভাবে বাড়ছে, তাতে করে ভারতে আইপিএল আয়োজন করা অনেক কঠিন। প্রায় সবদিক বিবেচনা করে ইতিবাচক কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।’
ভারতের তুলনায় আরব আমিরাতে করোনা পরিস্থিতি বেশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার মানুষের দেহে করোনা সংক্রমণ সনাক্ত হয়েছে, মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৩৭ জন। অন্যদিকে ভারতের প্রতিদিন গড়ে ২৫ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এ ভাইরাসে। মোট সনাক্ত ছাড়িয়েছে ১০ লাখের ঘর, মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬ হাজারের বেশি মানুষ।
এমতাবস্থায় ভারতের চেয়ে আরব আমিরাতের তিন ভেন্যু দুবাই, আবুধাবি ও শারজাহয় আইপিএলের ৬০ ম্যাচ আয়োজন করাই সহজ হবে বলে মনে করছে অ্যাপেক্স কাউন্সিল। এছাড়াও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোর বেশিরভাগ ট্রানজিটই দুবাইয়ে হয় বিধায় বিদেশি খেলোয়াড়রাও সহজে অংশ নিতে পারবেন আইপিএলে।
আরও পড়ুন: ৪ হাজার ৮শ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ গুনতে হবে বিসিসিআইকে
তবে আইপিএলের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী। আইসিসি যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাতিল করে দেয়, তাহলে আইপিএল আয়োজকরা সরকারের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবে। আইপিএলের অংশগ্রহণকারী দলগুলো জানিয়েছে, এবারের আসর আরব আমিরাতে হলেও তাদের সমস্যা নেই।