কক্সবাজারের পেকুয়ায় আশ্রয়ণকেন্দ্র সংস্কারে অনিয়মের ঘটনায় ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে এলাকাবাসী।
রোববার (১৯ জুলাই) উজানটিয়া ইউনিয়নের ঠান্ডার পাড়া ও পেকুয়ারচর এলাকার বাসিন্দারা গণসাক্ষরিত এ অভিযোগ ডাকযোগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে পাঠায়। একইসাথে এ অভিযোগের অনুলিপি কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তার কাছেও পাঠানো হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব বাজেটের আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মাধ্যমে সারাদেশের উপকূলীয় এলাকার ৮৪টি আশ্রয়ণকেন্দ্র সংস্কারের জন্য ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৬৪ হাজার ৭৮৯ টাকা বরাদ্দ দেয়। এতে পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের জালিয়া পাড়া আশ্রয়ণ কেন্দ্রের সংস্কারের কার্যাদেশ পায় উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজল এণ্ড ব্রাদার্স ও সীমা কনসট্রাকশন। কিন্তু ঠিকাদার কার্যাদেশ মোতাবেক উক্ত আশ্রয়ণ কেন্দ্রের সংস্কার না করে স্বল্প টাকায় কাজ শেষ করার জন্য দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কার্যাদেশের বাইরে সুতাচুরা (ঠান্ডার পাড়া) কারিতাস ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়ণ কেন্দ্রের সংস্কারকাজ শুরু করেন। এরই মাঝে এই অনিয়মের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে খবর আসলে ঠিকাদার ওই আশ্রয়ণ কেন্দ্রের সংস্কারকাজ শেষ না করে কার্যাদেশভুক্ত জালিয়া পাড়া আশ্রয়ণ কেন্দ্রের সংস্কারকাজ শুরু করে। কিন্তু সংস্কারের উদ্দেশ্যে ঠান্ডার পাড়া আশ্রয়ণ কেন্দ্রের দরজা, জানালা, টয়লেট, লোহার রেলিং, পলেস্তারা ভেঙ্গে ফেলা হয়। এতে প্রায় ১০-১২ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধনে হয়েছে। এমতাবস্থায় এ আশ্রয়ণ কেন্দ্র অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। তাই এটি সংস্কারের দাবী তুলেছেন অভিযোগকারীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা কায়েম রেজা বলেন, উপজেলার পিআইও ও ঠিকাদার যোগসাজশ করে সরকারি বরাদ্দের টাকা হাতিয়ে নিতে কার্যাদেশের বাইরে গিয়ে ঠান্ডার পাড়া আশ্রয়ণ কেন্দ্রের সংস্কারকাজ শুরু করেছিল। কিন্তু মাঝপথে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়াতে সংস্কারের উদ্দেশ্যে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে স্থাপনার অধিকাংশ কাঠামো। পুনরায় সংস্কারকাজ শুরু করা না গেলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এই জনপদের মানুষের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন বিপদ। তাই আশ্রয়ণ কেন্দ্রটি সংস্কারের দাবীতে এবং ঠিকাদারের অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা স্থানীয় ৩৬ জন বাসিন্দা গণসাক্ষর করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এব্যাপারে জানতে পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আমিনুল ইসলাম ও ঠিকাদার জয়নাল আবেদিনের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও বক্তব্য জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থী মনিরের মুক্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, আমি এখনো এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।