বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী, ইউরোপে প্রতি ১৭ সেকেন্ডে করোনায় একজনের মৃত্যু হচ্ছে। সামনের ৬ মাস আরও কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করতে হবে এবং নতুন ধাক্কা এড়াতে লকডাউন শিথিলে তাড়াহুড়ো করতেও নিষেধ করেছে সংস্থাটি।
প্রথমদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে যে কয়েকটি দেশ বেশ সফলতা দেখিয়েছে রাশিয়া তার মধ্যে অন্যতম হলেও গত সেপ্টেম্বর থেকে দেশটিতে করোনা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। ২০ লাখ ছাড়িয়েছে রাশিয়ায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রুশ করোনাভাইরাস টাস্কফোর্স অনুযায়ী, করোনা নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন এখন একমাত্র ভরসা।
ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ রাশিয়ার মতো করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল। যুুুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, জার্মানিতেও আশঙ্কাজনকহারে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় অঞ্চলের পরিচালক হ্যানস ক্লুজ জানান, সংক্রমণের ইউরোপে গত সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৯ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সামনের ছয় মাস আরো কঠিন হবে ফলে, তাড়াহুড়ো করে লকডাউন বা বিধিনিষেধ শিথিল করার বিষয়েও সতর্ক করেন হ্যানস ক্লুজ। করোনা মোকাবিলায় মাস্ক ব্যবহারের ওপর আরো বেশি গুরুত্ব দিতে বলেন তিনি।