করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিকল্প না থাকার কথা তুলে ধরে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, দুঃখজনকভাবে এখানকার মানুষের মধ্যে এই প্রবণতা ‘অত্যন্ত কম’। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর পাঁচলাইশে প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ক্যাম্পাসে স্কুলটির পক্ষ থেকে ‘করোনা আইসোলেশন সেন্টার, চট্টগ্রামকে এক্সরে মেশিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নওফেল বলেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সম্পূর্ণ জয়ী হতে হলে সবাইকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রদত্ত নির্দেশনা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের মাঝে এই প্রবণতা অত্যন্ত কম। সবাইকে নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলা এবং মাস্ক পরার অনুরোধ জানান তিনি। করোনাভাইরাস সংকটের শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে সাহস যুগিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের এই যুদ্ধে মাঠে থাকতে হবে। প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে এই সংকট মোকাবেলায় সবাইকে মাঠে নামিয়েছেন। দেশবাসী এক হয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এই সংকট শক্ত হাতে মোকাবেলা করছে। করোনা আইসোলেশন সেন্টার জনগণের মনে আস্থা তৈরি করতে পেরেছে মন্তব্য করে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা সেবার জন্য সাধারণ মানুষ সেখানে যাচ্ছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়েও মানবিক কাজে এগিয়ে আসায় প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলকে ধন্যবাদ জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, তাদের এই উদ্যোগ দেখে আরও অনেকে আগ্রহী হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল হক খান, উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. মিজানুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, এডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট বদিউল আলম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার দেবদূত মজুমদার, পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কাসেম, স্কুল পরিচালনা পর্ষদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলজার আলম আলমগীর, পরিচালক প্রফেসর ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ বাহাদুর, স্কুল উপাধ্যক্ষ ই ইউ এম ইনতেখাব, ফিরোজ চৌধুরী, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির সেক্রেটারি আবু সাঈদ সেলিম। করোনা আইসোলেশন সেন্টারের পক্ষে এক্সরে মেশিনটি গ্রহণ করেন প্রধান উদ্যোক্তা সাজ্জাত হোসেন, অ্যাড. জিনাত সোহানা চৌধুরী, নূরুল আজিম রনি, নাজিম উদ্দিন শিমুল, গোলাম সামদানি জনি ও জাওয়াদ চৌধুরী।