করোনায় দৃষ্টান্ত রাখছে এমপি একরাম

ছবি: সংগৃহিত

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সারা বিশ্বে এখন এক আতঙ্কের নাম। কেড়ে নিয়েছে প্রায় ৫ লক্ষাধিক প্রাণ । আক্রান্তের সংখ্যাও কোটির ঘর অতিক্রম করেছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। চরম অর্থসংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মানুষ। ঠিক এমন সংকটকালীন সময়ে দেশের বহু বিত্তবান হাত গুটিয়ে বসে থাকলেও কিছু মানুষ তাদের সহযোগিতার হাত খোলা রেখেছেন ঠিকই। তাদের উদ্দেশ্য আত্মপ্রচার নয় বরং তারা মানবতার সেবায় নীরবে-নিভৃতে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তারা চায় মানব সেবক হতে,মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে। এই মানবতার ফেরিওয়ালাদের একজন হলেন নোয়াখালীর ‘মাটি ও মানুষের নেতা’ বলে খ্যাত এমপি একরাম।

নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এমরামুল করিম চৌধুরী। দেশের করোনা সংক্রমণের শুরুতেই দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিন মাস আগেই তিনি বিশ্ব পরিস্থিতির আলোকে বুঝতে পেরেছিলেন, কী ঘটতে যাচ্ছে প্রিয় বাংলাদেশে।

তাই তো নিজের ফেসবুক পেজে মানবতার সেবায় সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে এগিয়ে আসার ডাক দিয়েছিলেন এমপি একরাম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েই তিনি তার দায়িত্ব শেষ করেননি। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই প্রতিদিন নতুন উদ্যেগ আর নতুন চিন্তাভাবনায় সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে নোয়াখালীর জনগণের পাশে ছিলেন এই নেতা। মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিতে এমপি একরাম ব্যক্তিগত তহবিল থেকে স্থানীয় জেলা প্রশাসককে (ডিসি) ৫০ লাখ টাকা দেন। পাশাপাশি নোয়াখালীর ৬০-৭০ হাজার পরিবারের মধ্যে নিজ কর্মী বাহিনী দিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। নিজ এলাকার মানুষ যাতে না খেয়ে না থাকে সে জন্য গঠন করেন ‘একরামুল করিম চৌধুরী ফাউন্ডেশন’। সেখানে দ্বিতীয় দফায় হতদরিদ্রদের খাদ্য সহায়তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষার সরঞ্জাম বাবদ দেন আরও ৩৮ লাখ টাকা।

একরাম চৌধুরী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে গঠন করেন ‘ইমার্জেন্সি ফুড ক্রাইসিস রেসপন্স টিম’। এরপর নোয়াখালীতে করোনা পরীক্ষা করার জন্য ল্যাব কার্যক্রম শুরু করা বাবদ দেন ৫ লাখ টাকার অনুদান। শুধু নিজ এলাকায় নয়, করোনায় মৃত্যুবরণকারী সম্মুখযোদ্ধাদের পরিবারের প্রতিও সহায়তা নিয়ে এগিয়ে যান এমপি একরাম।

করোনায় মৃত্যুবরণকারী প্রথম ডা. মহিনের পরিবারকে ২ লাখ টাকা দেন তিনি। পাশাপাশি মৃত ৫ সাংবাদিক ও ১৪ পুলিশ সদস্যের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দেন তিনি। এমনিভাবে প্রতিনিয়তই তিনি থাকছেন করোনা আক্রান্ত ও করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে। এছাড়াও প্রায় ১.৫ লক্ষ মাস্ক বিতরণ করে সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করেছেন তিনি।

এর আগে, জেলার কৃষিনির্ভর উপজেলা সুবর্ণচর উপজেলায় কৃষকদের ধান কাটার যন্ত্র ক্রয় ও ধান কাটা শ্রমিক বাবদ ১৪ লাখ টাকা এবং নোয়াখালী পৌরসভার হতদরিদ্রদের জন্য ১০ লাখ টাকা দেন এই জনপ্রতিনিধি। এছাড়া দুই দফায় স্থানীয় সাংবাদিকদের অনুপ্রেরণার জোগান দিতে ৪ লাখ টাকাসহ স্থানীয় অসুস্থ প্রবীণ এক সাংবাদিককে ৫০ হাজার টাকা দেন এমপি একরাম।

ঈদুল ফিতরের সময় নোয়াখালীর আড়াই হাজার অসচ্ছল ছাত্রলীগ কর্মী ও তাদের পরিবারের মধ্যে ঈদ শুভেচ্ছা বাবদ ২৫ লাখ টাকার উপহার সামগ্রী ও নগদ অর্থ দেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও তার একমাত্র ছেলে সাবাব চৌধুরী।

গত ৩ মাসে করোনা মোকাবিলা ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে তিনি প্রতি সপ্তাহে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ডিসি, এসপি, সিভিল সার্জনসহ সাংবাদিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। দলীয় কার্যালয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মিটিং করে তাদের ত্রাণ বিতরণ ও মানুষকে সচেতন করতে নানা দিক নির্দেশনা দেন। শুধু মিটিং বা নির্দেশনায় সীমাবদ্ধ ছিলেন না এমপি একরাম। তিনি সম্মুখ যোদ্ধার মতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজেই নেমে পড়েন পথে-ঘাটে। এ পর্যন্ত জেলার মানুষকে সচেতন করে যাচ্ছেন তিনি।

প্রায় সময় নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষকে করোনা রোধে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। আবার নেতা-কর্মীদের মৃত্যু শোকে হাহাকারও করছেন।কবির হাট পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রতনের মৃত্যুতে ফেসবুক লাইভে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মানবিক এমপি একরাম।কর্মীদের প্রতি তাঁর ভালোবাসা,আবেগ,অনুভূতির এক জলন্ত উদাহরণ ছিলো সেটি।একই সঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগের নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

করোনাকালে মানবতার সেবায় নিজস্ব উদ্যোগে এমন দান-অনুদানের বিষয়ে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, করোনার শুরু থেকেই যা কিছু করেছি সবই রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনানুযায়ী করেছি। নেত্রীর নির্দেশ ছিল, অসহায় সাধারণ মানুষের পাশে থাকার। তাদের পাশেই আছি। সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

সবার কাছে দোয়া চেয়ে এমপি একরাম বলেন, এই ধারাবাহিকতা যেন এ দুর্যোগে অবশ্যই অব্যাহত রাখতে পারি। আর আমি বিশ্বাস করি, দেশের যে কোনো দুর্যোগ পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের পাশে আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

দেশের এমন সংকটকালীন সময়ে জনগনের পাশে ছিলেন এমপি একরাম।প্রকৃত পক্ষে দেশ প্রেম,সমাজ প্রেম,  দায়িত্বশীলতা,মানবিকতার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ এমপি একরাম।

করোনা মহামারিতে  সদর- সুবর্ণচরের মানুষের আশার আলো জাগিয়েছেন তিনি।সকল মানুষের সুখে,দুঃখে পাশে ছিলেন ।একজন নিরহংকারী, দেশপ্রেমিক,মানবিক এমপি একরামের মতো যদি বাংলাদেশের সকল এমপি হতো,তবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ অচিরেই নির্মিত হতো।নোয়াখালীর মানুষ গর্বিত,একজন যোগ্য অভিবাবক পেয়েছে,পেয়েছে একজন মানবিক এমপি।যিনি সকল শ্রেনি মানুষের মনের চাহিদা বুঝতে পারেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *