কুড়িগ্রামে ফের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি, আতঙ্কে নিম্ন ও চরাঞ্চলের মানুষজন

কুড়িগ্রামে বানভাসী মানুষজন বন্যার দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে না পেতেই ফের বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমরসহ সবকটি নদ-নদীর পানি। প্লাবিত হয়ে পড়ছে নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল সমূহ। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে অব্যাহত রয়েছে নদী ভাঙ্গন। হুমকীর মুখে রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নদী রক্ষা বাঁধ সমূহ।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়,  ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সদর উপজেলাসহ উলিপুর, চিলমারী ও রৌমারী, নাগেশ্বরী উপজেলার ৩০ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ আবারও পড়েছেন বিপাকে ।

চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ আবু হানাফি জানান, আবারও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন। নদী ভাঙ্গন আমার ইউনিয়নের সব থেকে বড় সমস্যা। চলমান বন্যায় আমার ইউনিয়নের আউশ ও আমনের বীজতলা, সবজি ক্ষেত, তিল, চিনা, পাট এসব ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ উমর ফারুক জানান, আমার ইউনিয়নের চরসুভারকুটি পাঙ্গার চর এলাকার পিঁপড়ার ঘাট নামক স্থানে একটি রাস্তা ও চরসারডোব এলাকার একটি রাস্তা বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবং একটি মসজিদ হুমকীর মুখে রয়েছে। এছাড়া ধরলার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অসংখ্য পানিবন্দি মানুষ আতঙ্কিত রয়েছে।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে মাদক বিরোধী অভিযানে ৫৯জন গ্রেফতার

যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব আলী সরকার জানান, গতকাল থেকে আবারও নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে বানভাসী চরাঞ্চল এলাকার মানুষজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের মানুষ জন বড় বন্যার আশঙ্কা করছেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *