গত মে মাসেই যশোরে ৮ খুন ও অব্যহত ছুরিকাঘাত, ছিনতাই, চুরিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যশোর। গেল ৪ মাসে খুন হয়েছে ২২ জন। এরমধ্যে পৌরসভার কাউন্সিলরসহ একাধিক ব্যক্তি ছুরিকাঘাত ও জখমের শিকার হয়েছেন। ছিনতাই, চুরিতো আছেই এতে উৎকণ্ঠা বাড়ছে সাধারন মানুষের মধ্যে।
কেবল দূর-দূরান্তের গ্রাম-গঞ্জে ঘটেছে তা নয়, জেলা শহরেই ঘটছে এসব হত্যাকান্ড। বিশেষ করে অনিরাপদ হয়ে পড়েছে যশোর সদর। শহরের অলি-গলিতে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন অপরাধী চক্র। এদের নামে রয়েছে হত্যাসহ একাধিক মামলা। শহরের সর্বত্র বিরাজ করছে ভীতি, আতঙ্ক।
জনমনে স্বস্তি ফেরাতে মাঠে নেমেছে যশোর পুলিশ। শহরের অলি গলিতে প্রতিনিয়ত চালানো হচ্ছে বিশেষ অভিযান। নিয়মিত তল্লাশির পাশাপাশি সন্দেহভাজন ব্যাক্তিদের করা হচ্ছে জেরা। সকল প্রকার মাদক নির্মূল, ছিনতাই, কিশোর গ্যাং, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজীসহ সকল অপরাধ নির্মূলে গত ২০ দিন ধরে চলছে এ বিশেষ অভিযান এতে গ্রেফতার হয়েছে ১২৩ জন।
বিশেষ এ অভিযানের পরিচালনা করার সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) বেলাল হোসাইন মর্নিং নিউজকে জানান, “খুন ছিনতাইয়ের ঘটনায় স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে চালানো হচ্ছে এ বিশেষ অভিযান। অপরাধীদের লাগাম টেনে ধরতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
পুলিশের এ বিশেষ অভিযানে স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করেছে জনমনে। সন্ত্রাস দমনে ভালো সাড়া মিলছে এ অব্যাহত অভিযান থেকে।