খুলনাসহ খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় দোকানপাট বন্ধ অথবা বেধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময় পযর্ন্ত দোকান খোলা রাখার নির্দেশনা থাকলেও এসব নির্দেশনার তোয়াক্কা করছেনা অনেকে। এযেন প্রশাসনের সাথে দোকানিদের চোরপুলিশ খেলা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, খুলনার বিভিন্ন এলাকার বাজারের সব দোকানই বন্ধ। শাটারে তালা ঝুলছে।দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে কর্মীরা লোকজনকে ডেকে ডেকে জিজ্ঞাসা করছেন ‘কী লাগবে’। এ চিত্র শুধু খুলনার না বাগেরহাট, মোংলা, সাতক্ষিরা, যশোর, নড়াইল এর বিভিন্ন স্থানে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এভাবেই চলছে দোকানপাট বন্ধ রেখে বেচা-কেনার কার্যক্রম।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও খুলনার বড় বাজারের যানজট লেগেই রয়েছে। মোটরসাইকেল পার্টস মার্কেটের প্রবেশ মুখে বড় করে ‘মার্কেট বন্ধ’ লেখা ঝুলিয়ে বাঁশ দিয়ে গলির মুখ আটকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দোকানদার ও ক্রেতারা অনায়াসেই বাঁশ ঘেরার ফাঁক দিয়ে যাতায়াত করছেন।
দোকানদাররা বলেন, ‘প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী ২৫ জুন থেকে মার্কেট বন্ধ রাখতে হবে। তাই আমরাও কৌশল নিয়ে সামাজিক দূরত্ব ঠিক রেখে হালকা বেচাকেনা চালিয়ে যাচ্ছি।
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, জনসাধারণের যথেচ্ছ চলাচলের কারণে খুলনায় করোনা রোগী বেড়েই চলছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালন ও সামাজিক দূরত্ব ঠিক মতো মানতে পারলে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ২৬ জুন থেকে সপ্তাহে ৩দিন শপিং মল দোকান পাট খুলে দেওয়া হলেও প্রশাসনের মনিটরিং থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব পালনের বিষয়টি কঠোরভাবে দেখা হবে।