গণতন্ত্র ভেঙ্গে পরিবারতন্ত্রে “সু-বসতি”র পরিচালনা পর্ষদ, আছে দুর্নীতির অভিযোগ

গণতন্ত্র

গণতন্ত্র

 

সমাজকল্যাণ অধিদফতরের অধীন এনজিও হিসেবে নিবন্ধিত “সু-বসতি” পরিবারতন্ত্র কেন্দ্রিক পরিচালিত হচ্ছে অভিযোগ উঠেছে।নিবন্ধন পাওয়ার পর থেকেই কমিটির প্রভাব শালীরা অলিখিত ক্ষমতা প্রয়োগ করে এনজিওটির কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে।যদিও প্রতি দুই বছর পর পর পরিচালনা কমিটি গঠন করার নিয়ম সুস্পষ্ট গঠনতন্ত্রে থাকলেও প্রভাবশালী পরিবারটি আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে  নির্বাচনকে পাশ কাটিয়ে তাদের ইচ্ছে মত পকেট কমিটি গঠন করেই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিতে।

জানা যায়,এনজিওটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ফখরুল ইসলাম সিদ্দিক,তার ভাতিজি তাসনিমা সিদ্দিক ও তার মেয়ে ফাহিমা সিদ্দিক ইমা সভাপতি ও সহসভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে রেখেছেন।পারিবারিক সমঝোতার মাধ্যমে দখলে থাকার পদ পুনরায় ২০২১-২০২৩ পর্যন্ত বর্ধিত করে নেয় যা সম্পূর্ণ জালিয়াতি এবং গঠনতন্ত্র বিরোধী।এমনকি নিয়মবহির্ভূত ভাবে সংগঠনের সাত সদস্যকে কমিটি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে যা সম্পূর্ণ বেআইনি। এমনকি উক্ত সদস্যদের স্বাক্ষর জাল পর্যন্ত করার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

অব্যহতি দেওয়া সদস্যরা বিষয়টি জানার পর সমাজ সেবা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অধিদফতর তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং তদন্তে সভাপতি তথ্য প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলে চলতি বছর ৪ জানুয়ারি  পরিচালনা কমিটি বিলুপ্ত করে প্রশাসক নিয়েগ করে অধিদফতর।বন্ধ করে দেওয়া হয় এনজিওটির দুটি পৃথক ব্যংক একাউন্ট। পরে সভাপতির আপত্তিতে ফেব্রয়ারিতে পুনরায় তদন্ত কমিটি গঠন করে অধিদফতর, তবে তদন্ত প্রতিবেদন এখন ও প্রকাশ করেনি।

এই বিষয়ে জানতে চেয়ে পরিচালক প্রতিষ্ঠান সমাজসেবা অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করা হলে মহাপরিচালকের অনুমতি ছাড়া বক্তব্য দেওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।

এদিকে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করে সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে এনজিও টিকে প্রভাবশালী পরিবারের হাত থেকে উদ্ধার করে প্রকৃত সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ সদস্যবৃন্দ।

উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে জানতে সভাপতির সাথে মোবাইল ফোনে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *