গণপরিবহন সচলে বাধা নেই; পণ্য পরিবহনই বন্ধ থাকবে

ছবি: সংগৃহিত

কোরবানির ইদের আগে-পরে নয় দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও কোরবানির পশু পরিবহনের যানবাহন ছাড়া পণ্য পরিবহনের অন্য সব যান বন্ধ রাখবে সরকার; এই সময় গণপরিবহন চলাচল অব্যাহত থাকবে।

দুল আযহা উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরি, স্টিমার চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ কর্মপন্থা নির্ধারণ নিয়ে বুধবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে এক বৈঠকের শুরুতে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ইদের আগে-পরে নয় দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছিলেন।

তবে সভা শেষে তিনি গণিমাধ্যমকে বলেন, “ইদের আগে-পরে নয় দিন পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকবে। ইদের আগের পাঁচ দিন ও পরের তিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও কোরবানির পশুর ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ফেরিতে চলাচল বন্ধ থাকবে। নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলবে কিন্তু পণ্যবাহী জাহাজ চলবে না।”

সভার শুরুতে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছিল।

আগের বক্তব্য থেকে সরে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বৈঠকে ওই প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছিল। তবে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলবে, কিন্তু পণ্যবাহী জাহাজ চলবে না।”

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কোরবানির ইদে সব চাকরিজীবীকে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা ইতোমধ্যে দিয়েছে সরকার।

গণপরিবহন সীমিত পরিসরে চলাচল করায় ইদের সময় সিদ্ধান্ত কী হবে, তা জানতে সবার আগ্রহ রয়েছে।

সাংবাদিকদের অনুরোধে বুধবারের সভার শুরুতে ব্রিফিং করেছিলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ। ওই সময় তিনি বলেন, “ইদুল আযহার সময় জনগণের যাতায়াত সীমাবদ্ধ করার নিমিত্তে ইদুল আযহার পাঁচদিন পূর্ব থেকে তিন দিন পর পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ রাখার প্রজ্ঞাপন আদেশ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল। “মানে ইদের আগের পাঁচদিন এবং পরের তিন দিন আমাদের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এটা সরকারের পক্ষ থেকে এটা একটা প্রজ্ঞাপন পেয়েছি আমরা, সেটা আমরা জানিয়ে দিলাম, সে আলোকেই আমরা পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করব।

“যারা ইদে (বাড়ি) যেতে চায় তাদের পাঁচ দিন পূর্বে যেতে হবে এবং যারা আসতে চায় (ঈদের) তিন দিন পরে আসতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে বলেছে, কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী তার স্টেশন লিভ করতে পারবে না।”

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ জুলাই বা ১ অগাস্ট কোরবানির ঈদ হবে। ৩১ জুলাই এবং ১ ও ২ অগাস্ট ইদের ছুটি নির্ধারণ করা আছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, আগামী ৬ অগাস্ট পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা আছে।

আর গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত টানা সাধারণ ছুটির পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস চলছে। আগামী ৩ অগাস্ট পর্যন্ত এভাবেই অফিস চলবে বলে সরকারি সিদ্ধান্ত রয়েছে।

মহামারীর মধ্যে রোজার ইদের সময় বিধিনিষেধ অনেক শিথিল করায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। রোজার ইদের পর শুধু জুন মাসেই রোগীর সংখ্যা ১ লাখ বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন: গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করতো সাহেদ: র‌্যাব ডিজি

দেশে এখন শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দুই লাখের কাছে পৌঁছেছে। এর মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে।

গত ১৩ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক আদেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে কোরবানির ইদের ছুটিতে সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবশ্যই কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশ দেয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *