গাইবান্ধাকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

গাইবান্ধাকে

গাইবান্ধাকে

খুন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দাদন ব্যবসা ও মাদকের দৌড়াত্ন্য থেকে গাইবান্ধাকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে গাইবান্ধাবাসী। উত্তরের অবহেলিত ও অভিভাবকহীন এই জনপদকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামণা করেছে তারা।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ অাহ্বান জানানো হয়। ঢাকায় বসবাসরত গাইবান্ধাবাসীর ব্যানারে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধারাবাহিক খুনের ঘটনা, দাদন ব্যবসা ও মাদকের দৌড়াত্ন্য, সামাজিক অবক্ষয়ে শান্তির শহর গাইবান্ধায় আজ অশান্তি বিরাজ করছে। উত্তরের অবহেলিত জনপদের মানুষ শত কষ্ট করে জীবিকা নির্বাহ করলেও শান্তি নিয়ে বাঁচতে চায়। কিন্তু কতিপয় দুস্কৃতিকারী, সন্ত্রাসী, সুদখোর ও খুনিদের তৎপরতা এই জনপদের মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। একের পর এক খুনের ঘটনায় মানুষ হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত খুনের ঘটনা ঘটেছে। খুন হওয়াদের তালিকায় সবশেষ যুক্ত হয়েছে সাবেক ছাত্রনেতা ও গাইবান্ধা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল হাসান লিখনের নাম।

বক্তারা উদ্বেগ নিয়ে বলেন, শহর থেকে গ্রামে সবখানে মানুষ আজ সীমাহীন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়েও জনগণ আজ বীতশ্রদ্ধ। এ অবস্থায় আমরা রাজধানীতে বসবাসরত গাইবান্ধার মানুষ রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। আমরা আর কোনো লিখনকে হারাতে চাই না। কোনো দুস্কৃতিকারী, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, খুনির হাতে গাইবান্ধাকে জিম্মি হতে দিতে চাই না। স্বজন হারানোর কান্না আর দেখতে চাই না।

এ অবস্থায় গাইবান্ধা ও গাইবান্ধাবাসীর নিরাপত্তা বিধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয় সমাবেশে। তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গাইবান্ধার মানুষ আজ অভিভাবকহীন। অভিভাবকহীন এই জনপদকে বাঁচাতে আপনি আমাদের অভিভাবক হোন। আপনার কঠোর হস্তক্ষেপে গাইবান্ধাকে বাঁচান।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *