প্রাক-ক্লিনিকাল পর্যায়ের প্রাণীর উপর সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করে, এই মাসেই কোভিড -১৯ এর ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করার জন্য বাংলাদেশী সংস্থা গ্লোব বায়োটেক সরকারের অনুমোদন চাইবে।
ডোজটি মানুষের জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য এই ভ্যাকসিন মানুষের উপরে পরীক্ষার প্রথম পর্যায় শুরু করতে সংস্থাটি কন্ট্রাক্ট রিসার্চ অরগানাইজেশন (সিআরও) এর মাধ্যমে অনুমোদন চাইবে।
ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা দাবি করেছে যে, তারা প্রাক-ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলির বেশ ভালো ফলাফল হাতে পেয়েছে, প্রথমে খরগোশ এবং পরে ইঁদুরের উপর পরিক্ষা করা হয়েছিল।
ভ্যাকসিনের জন্য মানব পরীক্ষার প্রথম পর্ব শুরু করতে একমাত্র স্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাটি সিআরও এর মাধ্যমে পরের সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে নৈতিক অনুমোদন চাইবে।
অনুমোদনের পরে, সংস্থাটি মানব ক্লিনিকাল ট্রায়াল পর্যায়ে প্রবেশ করবে এবং পরীক্ষা করবে ডোজটি মানুষের পক্ষে নিরাপদ এবং কার্যকর কিনা।
ক্লিনিকাল বা হিউম্যান মডেলিং ট্রায়ালটি তিনটি পর্যায়ে করা হয়। প্রথম পর্যায়ে, ওষুধের সুরক্ষা পরীক্ষা করার জন্য একটি ক্ষুদ্র জনগোষ্টিকে ডোজ দেওয়া হয়। সুরক্ষা এবং এর কার্যকারিতা নির্ধারণের জন্য দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালটি প্রথম ধাপের তুলনায় বৃহত্তর গ্রুপে করা হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষাটি ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি যাচাই করার জন্য পরিচালিত হয় এবং বিভিন্ন বয়সি মানুষের উপর পরিক্ষা করে দেখা হয় যে কার্যকারিতা ঠিক আছে কিনা।
সংস্থাটির পরিকল্পনার কথা ডঃ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান যে, তারা ক্লিনিকাল ট্রায়াল ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা করেছেন কারণ প্রতিটি পরীক্ষা শেষ করতে ২৮ দিন সময় লাগবে।
তিনি আরও বলে, “আমরা আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যিকভাবে এই ভ্যাকসিন প্রকাশের বিষয়ে আমরা আশাবাদী,” ।
গ্লোবাল মিডিয়া অনুসারে, বিশ্বের প্রায় ১৯০ টি সংস্থা আমেরিকার মোদার্না এবং ফাইজার, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, চীনের সিনোভাক বায়োটেক এবং ভারতে বায়োটেক ইন্ডিয়া (বিবিআইএল) সহ অন্যান্য পতিষ্ঠান ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে।
ভ্যাকসিনগুলির মধ্যে প্রায় নয়টি তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে।