ঘরের জিনিসপত্র পরিষ্কারে সাধারণ কিছু ভুল

অনেক সময় বাড়িঘর বা আসবাবপত্র পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে অনেকে সাধারণ কিছু ভুল করে থাকেন। এতে ময়লা পরিষ্কারের পরিবর্তে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো আরও নোংরা হয়ে পড়ে।

একই ন্যাকড়া দিয়ে ঘরের সব জিনিস পরিষ্কার করা: অনেকে ঘরের বিভিন্ন ধরনের জিনিস এবং জায়গা পরিষ্কারের ক্ষেত্রে একই ন্যাকড়া বা কাপড়ের টুকরা ব্যবহার করে থাকেন। প্রথমে যে জিনিস বা জায়গা পরিষ্কার করা হয় সেখানকার ময়লা পরবর্তীটাতে ছড়িয়ে পড়ে। যেমন- রান্নাঘরের বা খাবার টেবিলের ময়লা মোছার কাপড়ের মাধ্যমে সেটা শোবার ঘরের টেবিলে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

প্রতিটি রুমের জিনিস পরিষ্কারের জন্য আলাদা পেপারটিস্যু বা গামছা ব্যবহার করুন। এছাড়া মাইক্রোফাইবার দিয়ে তৈরি পরিষ্কারক কাপড় ব্যবহার করতে পারেন। কোনো জায়গা পরিষ্কারের পর কাপড়টি ধুয়ে ফেললে জীবাণু দূর হয়।

পালকের ঝাড়ু ব্যবহার: পালকের ঝাড়ু ময়লা আঁকড়ে রাখতে পারে না। এটা দিয়ে কোনো আসবাবপত্রের পরিষ্কার করার সময় ময়লা নিচের দিকে বা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ঘরের আসবাবপত্রের উপরিভাগের ময়লা সঠিকভাবে পরিষ্কারের জন্য মাইক্রোফাইবার পরিষ্কারক কাপড় বা পেপার টাওয়াল ব্যবহার করতে পারেন।

ভেক্যুয়াম পরিষ্কার না করা: ঘরের ময়লা পরিষ্কারের জন্য ভেক্যুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করছেন। কিন্তু ময়লা ভেক্যুয়ামটাও মাঝে মাঝে পরিষ্কার করতে হয় সে খেয়াল অনেকেই রাখেন না। ভেক্যুয়ামের ফিল্টার পরিষ্কার বা পরিবর্তন করতে হবে। নয়তো মেশিনটি বেশি ময়লা টানতে পারবে না বা বাতাসের সঙ্গে ময়লা ফিরে আসতে পারে। এতে কার্পেট পরিষ্কারের বদলের আরো ময়লা হয়।

টয়লেট ব্রাশ: টয়লেট পরিষ্কারের পর অনেকে ব্রাশ ভেজা অবস্থায় ঢেকে রেখে দেন। টয়লেটের জীবাণু ব্রাশে জমে থাকে। পরবর্তীতে ব্রাশটি ব্যবহারের সময় টয়লেটে জীবাণু ফিরে আসে। ব্রাশটি ব্যবহারের পর পুরোপুরি না শুকানো পর্যন্ত ঢাকনা লাগিয়ে দেবেন না।

মেঝে পরিষ্কার: মেঝে ঝাড়ু দেওয়া, মোছা বা ভেক্যুয়াম দিয়ে পরিষ্কার করার আগে অবশ্যই আসবাবপত্র, ধুলাবালি এবং টেবিল পরিষ্কার করে নিতে হবে। অন্যথায় এগুলো পরিষ্কারের পর আবার মেঝে পরিষ্কার করতে হবে।

সরাসরি স্প্রে করা: আসবাবপত্র বা গ্লাসের জিনিসে সরাসরি স্প্রে ব্যবহার করে পরিষ্কার করলে ময়লা আটকে থাকতে পারে। মাইক্রোফাইবার কাপড়ে বা পেপার টাওয়ালে স্প্রে করার পর সেটি দিয়ে কাঁচ বা আসবাবপত্র মুছতে হবে।

ওয়াশিং মেশিন পরিষ্কার: ওয়াশিং মেশিন এর ড্রামে লেগে থাকা ডিটারজেন্ট, দরজা বা ঢাকনায় থাকা জীবাণু ও দাগ কাপড়ের মাধ্যমে ত্বকের কোষের ক্ষতি করতে পারে। নোংরা পানিতে কাপড় ধোয়ার ফলেও এমনটা হতে পারে। তাই ওয়াশিং মেশিন নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।

বাসন ধোয়ার সাবান দিয়ে চপিং বোর্ড পরিষ্কার করা: বাসন পরিষ্কারের সাবান দিয়ে চপিং বোর্ড করা ঠিক নয়। বোর্ডে লেগে থাকা ব্যাকটেরিয়া বাসনের মাধ্যমে খাবারে ছড়িয়ে যেতে পারে।

চপিং বোর্ড পরিষ্কার করতে এটি হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড বা ব্লিচ (২ টেবিল চামচ ব্লিচ ও এ গ্যালন পানি) নিন। চপিং বোর্ডটি এতে চুবিয়ে নিন এবং বোর্ডটি ভালোভাবে শুকানোর ব্যবস্থা করুন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *