চতুর্মুখি নির্যাতনেই কি জেনি বেবির আত্নহনন?

ছবি: সংগৃহিত

বড়াইগ্রামের খ্রীস্টান নারী জেনি বেবি’র মৃত্যুর জন্য কারা দায়ী? জীবন-মৃত্যুর মাঝখানে দাড়িয়েঁ নিজের হতাশার কথা বার বার সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেও পাননি কোন সমাধান।এমনকি থানা পুলিশের ছায়া খুজতে গিয়েও হয়েছেন হতাশ।

১৬ বছর আগে স্বামী হারানো নারীর একাকীত্ব জীবনের সঙ্গী ছিল চাকরি।ঢাকায় বিদেশীদের হাউজ কীপার হিসাবে ভালই ছিলেন জেনি।সাবার মাঝে সময় চলে যাচ্ছিলো তার।করনোর কারনে বিদেশীরা নিজ দেশ আমেরিকায় ফিরে গেলে কর্মহীন হয়ে পড়ে জেনি বেবি।আবার সেই নিঃস্বঙ্গতা।ফিরে আসতে হয় নিজ গ্রামে।পূরোনা স্বজনদের কাছে।একটু ভালবাসা,একটু ছায়া একটু সঙ্গ পাওয়ার আশায় আশ্রয় নিয়েছিলেন ভাইদের বাড়িতে।বাব-মা স্বামী হীন জীবনে পরম আত্নীয় বলতে ভাইদের কাছে খুজেছিলেন আশ্রয়।কিন্তু বেকার জেনির দায়িত্ব নিতে চায়নি ভাই বিলাস কস্তা বা রঞ্জন কস্তা।অনেকটা জোর করেই ভাইদের বাসায় অবস্থান নিয়েছিল জেনি।এজন্য তাকে প্রতিমূহুর্তে সইতে হত বৌদি আর ভাতিজাদের শারীরিক ও মৌখিক নির্যাতন।ভাই রঞ্জন কস্তার ছেলের নির্যাতনে রক্তাক্ত জখম হতে হয়েছে জেনি বেবিকে।অভিযোগ দিতে গিয়েছিলেন থানায়। কিন্ত নেয়নি পুলিশ।এ অভিযোগ নিজের ফেসবুক পেইজে করে গিয়েছেন জেনি।তবে বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলিপ কুমার দাস বলেছেন,তিনি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় এ ধরনের কোন অভিযোগ নিয়ে কেউ আসেনি।আসলে অভিযোগ না নেয়ার প্রশ্নই আসেনা।

নিঃস্বঙ্গ জীবনের ধারাবাহিক কষ্টের সাথে বাঁচার জন্য আঁকড়ে ধরা স্বজনদের অব্যাহত শারীরিক ও মানষিক নির্যাতনই জেনিকে আত্নহননের দিকে ঠেলে দিয়েছে নাকি এর পেছনে অন্য কোন গোপন তথ্য লুকিয়ে আছে।তবে জেনি বেবি যে ভুগছিলেন চতুর্মুখি নির্যাতনে তা স্পষ্ট।একাকীত্ব,শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন এবং তার থেকে বিচার বা প্রতিকার না পাওয়া।কারো সহযোগিতা না পাওয়া।

বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ বলছে লাশ ময়না তদন্তের পর বিষযটি নিয়ে তদন্ত করবে তারা।যদিও এখনো পরিবারের পক্ষ থেকে আসেনি কোন অভিযোগ।পুলিশ নিজ থেকেই একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করেছে।আজ রোববার লাশ ময়না তদন্ত শেষে দেয়া হবে সেই ভাইদের কাছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *