আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১২ জুলাই) সকালে সাড়ে ১০ টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫-৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
বিবদমান দুটি পক্ষের একপক্ষ নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী। অন্যপক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বলে জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূইয়া সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। একটি পক্ষ মেডিকেল গোল চত্বরে আর অপরপক্ষ মেডিকেলের বাইরে অবস্থান করছে।
এদিকে সংঘর্ষে আহত কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে বলে সিভয়েসকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাদি হাশিম।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান নওফেল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিদর্শনে আসেন সকালে। আমাদের পক্ষ হতে তাকে রিসিভ করে পরিচালকের রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। করোনাভাইরাসের কারণে এসময় মেডিকেল শিক্ষার্থী ছাড়া বহিরাগতদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। কিন্তু শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান নওফেল চমেক থেকে চলে যাওয়ার পরপরই মেডিকেলে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা মিলে আমাদের উপর হামলা চালায়। আমাদের এখন পর্যন্ত ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তবে এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সংঘর্ষের বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান জানান, আমাদের ৫৭তম ব্যাচের যেসকল ছাত্র চিকিৎসক হয়েছেন তাদের শপথ অনুষ্ঠান ছিল আজ। মন্ত্রী মহোদয় আসার পর আমাদের পক্ষ থেকে তাকে রিসিভ করা হয়। তবে দু:খের বিষয় তিনি ইদানিং মেডিকেলে আসার পর থেকে উনার পিছনে সোহেল হত্যা, অস্ত্র মামলার আসামিসহ একাধিক মামলার আসামি ঘুরাফেরা করে।
তিনি আরও জানান, মন্ত্রী মহোদয়ের নাম ব্যবহার করে কতিপয় শিক্ষার্থী আমাদের কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। আমাদের পক্ষ হতে আজকে মন্ত্রীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু মন্ত্রী চলে যাওয়ার পরে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঘিরে রেখে কয়েকজন মেডিকেল শিক্ষার্থী ও বহিরাগত সন্ত্রাসী আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিবাসীকে চিকিৎসা সামগ্রী দিল আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যান উপ-কমিটি
এতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ডা. ফয়সাল আহমেদ সহ-সভাপতি ডা. নূর মোহাম্মদ তানজিম, ডা. মাসুম বিল্লাহ মাহি, শুয়েব আলী এবং মাহাদি হাশিম আহত হয়েছে। হামলার বিষয়টি চমেক অধ্যক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও জানান হাবিবুর রহমান।
প্রসঙ্গত-এর আগে চলতি বছরের ৩ মার্চ ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।