স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার(১৭ জুলাই) পদ্মাপাড়ের লক্ষ্মীরচর এলাকায় সদ্য নির্মিত আশ্রয়ণকেন্দ্রের তিন দিক ভাঙ্গনের শিকার হয়। পদ্মার তীব্র স্রোতে তিনতলা আশ্রয়ণকেন্দ্রের তিনদিকের মাটি ভেঙে নদীতে মিশে গেছে। যে কোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে স্থাপনাটি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য পারভেজ গাজী জানান, এই আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনির প্রচেষ্টায় প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় সাইক্লোন সেন্টার কাম স্কুল ভবন। নির্মাণের সময় নদী ১৫০০ মিটার দূরে থাকলেও নদী ভাঙতে ভাঙতে এখন তা বিলীন হওয়ার পথে। আশ্রয়কেন্দ্রটি এক মাস আগে কতৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হলেও তা এখনো উদ্বোধন হয়নি।
চর রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী হযরত আলী ব্যাপারী জানান, উজানের ঢলের পানির প্রবল স্রোত এখানে প্রচন্ড ঘূর্ণিস্রোত সৃষ্টি করে যা ভাঙ্গনের মূল কারন। বর্ষায় এই ভাঙ্গন চূড়ান্ত রুপ ধারণ করে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, পানিতে ডুবে এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু
তিনি আরও জানান,গত কয়েকদিনের ভাঙ্গনে বহু গ্রাম ও ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আরও গ্রাম বিলীন হবার শঙ্কায় আছে। অবস্থার বিবেচনায় গ্রামবাসীকে অনত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তিনি জানান সমস্যা নিরসনে উপজেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ভাঙ্গনের ব্যাপারে ইতোমধ্যে ঊর্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।