বিতর্কিত লাদাখসহ কাশ্মীরের বিভিন্ন সীমান্তে শত্রু পক্ষ হিসেবে পরিচিত চীন ও পাকিস্তানি সেনাদের চোখকে ফাঁকি দিতে বিকল্প সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। দেশটির সেনা সদস্যরা যেন শত্রু পক্ষের নজরে না এসেই নিজেদের গতিবিধি চালাতে পারে এ জন্য মানালি থেকে লেহ পর্যন্ত সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
রাস্তাটি মূলত পাহাড়ের উচ্চতায় থাকা এই কেন্দ্র শাসিত প্রদেশকে বাকি দেশের সঙ্গে যুক্ত করার তৃতীয় লিংক হবে। বুধবার (১৯ আগস্ট) ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ভারতের সঙ্গে চীন ও পাকিস্তানের সীমান্ত নিয়ে লাদাখ এবং কাশ্মীরে উত্তেজনা এখনো অব্যাহত আছে। চলমান সঙ্কট নিরসনের জন্য এই দেশগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা একাধিকবার আলোচনায় বসেছিলেন। যদিও এখন পর্যন্ত উত্তেজনা পুরোপুরি নিরসন হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে লাদাখ এবং কাশ্মীরে সামরিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা সাব-সেক্টর নর্থের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বিকল্প পথ হিসেবে লাদাখ ও কাশগরের মধ্যবর্তী একটি প্রাচীন কাফেলা বাণিজ্যপথ পুনরুদ্ধার করছে ভারত। এই পথ দিয়ে কারাকোরাম পাস, দীপসাং এবং ডিবিও-র এয়ারফিল্ডেও পৌঁছানো যাবে।
বর্তমানে এই সব সংবেদনশীল এলাকায় পৌঁছতে হলে দারবুক-সায়ক-ডিবিও রোড ব্যবহার করতে হয়। ২৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছাকাছি দিয়ে গিয়েছে, ফলে সব সময় এই রাস্তায় শত্রুপক্ষের আক্রমণের একটা আশঙ্কা থেকেই যায়।
এ জন্যই বিকল্প রাস্তা পুনরুদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। গোপন এই রাস্তাটি সিয়াচেন বেসের কাছাকাছি সাসুমা থেকে শুরু হয়ে পূর্ব দিকে ১৭,৮০০ ফুট উচ্চতার সাসুর লা হয়ে দীপসাং সমতলভূমিতে ডিএসডিবিও রাস্তার সঙ্গে মিশবে।
বর্তমানে সাসুমা থেকে সাসুর লা পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটারের একটি কর্দমাক্ত রাস্তা রয়েছে। যা শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালেই ব্যবহার করা যায়। এই পুরো রাস্তার মেরামত হয়ে গেলে সাব-সেক্টর নর্থের বিভিন্ন সংবেদনশীল এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে বিশেষ সুবিধা হবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর।