জনগণের কল্যাণে কাজ করতে আওয়ামী লীগ অঙ্গীকারাবদ্ধ : শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের কল্যাণে সব সময় কাজ করে যাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জাতির পিতার কাছে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব, এটাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে আমাদের অঙ্গীকার।’

প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আজ দুপুরে একদশ জাতীয় সংসদের অষ্টম (বাজেট) অধিবেশনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেয়া ভাষণে একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে দুঃখ কষ্ট মানুষের থাকলেও আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রতিটি ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে লাশ দাফন করাসহ প্রতিটি কাজে মানুষের পাশে রয়েছে।’

প্রত্যেকটি এলাকায় আওয়ামী লীগ এবং তাঁর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন ঘুর্ণিঝড় (আম্ফান) এলো তখনও কিন্তু তাঁরা সকলে সক্রিয় ছিলেন। তাঁরা আমাদের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি বাস্তবায়নে দেশের প্রত্যেক এলাকায় বৃক্ষরোপন করেও তাঁদের ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। ঠিক এইভাবেই মানুষের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাব।’

সাত দিন বিরতির পর চলমান সংসদের অষ্টম ও বাজেট অধিবেশনের মুলতবি বৈঠক এদিন সকাল ১১ টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয়।

গত ১৫ জুন সম্পূরক বিল পাস হওয়ার পর কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে ২৩ জুন পর্যন্ত সংসদ মুলতবি করা হয়েছিল। ১০ জুন থেকে শুরু হওয়া জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন আগামী ৩০ জুন আগামী অর্থ বছরের বাজেট পাস হওয়ার মধ্যদিয়ে শেষ হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের দিনে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আমাদের এটাই প্রতিজ্ঞা- বাংলাদেশকে আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করে গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করবো।’

তিনি বলেন, ২৩ জুন যে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল তৎকালিন পলাশিরই একটি অংশ আমাদের মেহেরপুরের বৌদ্ধনাথ তলার বর্তমান মুজিবনগরের আম্রকাননে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার শপথ গ্রহণ করে। যারা মুক্তিযুদ্ধটি পরিচালনা করেন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আজকের দিনটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, কেননা সেদিনের সেই অস্তমিত সূর্যই (পলাশির প্রান্তরের) ১৯৪৯ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আবারো উদিত হয়। যখন আওয়ামী লীগ সংগঠন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে¡ ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে। মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের অগনিত নেতা-কর্মী জীবন দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের কথা স্মরণ করেন ও শ্রদ্ধা জানান।

তিনি এ সময় এবারের জাতীয় সংসদের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যবৃন্দ যারা মুত্যুবরণ করেছেন, তাঁদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান এবং সকলের রুহের মাগফিরাত কামণা করেন।

তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এবং প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক এবং সে সময় কারাগারে থাকা দলটির দলটির তরুণ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং বলেন, ‘প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের কথা, তাঁদের অধিকার, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সব অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই সংগ্রাম করে গেছে।’

এদেশের মাটি ও মানুষের জন্য জাতির পিতার আজন্ম লড়াই-সংগ্রামের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা তাঁর সংগ্রামের পথে অনেক বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করেছেন।’

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *