করোনা মহামারির সেকেন্ড ওয়েভ আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে আবারও লকডাউন ঘোষনা করেছে জার্মানি। আগামী ২ নভেম্বর সোমবার থেকে দেশব্যাপী আংশিক লকডাউন শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) এক জরুরি সভায় জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল এবং জার্মানির বিভিন্ন রাজ্যের রাষ্ট্রপ্রধানরা নতুন এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
তবে দেশব্যাপী নতুন এই লকডাউন আগের থেকে কিছুটা শিথিল করা হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাঙ্গেলা মের্কেল। জার্মান অর্থনীতির বিষয়টি মাথায় রেখেই এবারের লকডাউন কিছুটা অন্যরকম হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
লকডাউন কার্যকর করতে আগামী মাসের শুরু থেকে নিম্নোক্ত নতুন বিধিনিষেধ গুলো আরোপ করা হবে।
- বিধিনিষেধ-এর আওতাধীন থাকবেঃ
১। রেস্তোঁরা এবং বারগুলি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকেব, তবে ক্রেতারা সেক্ষেত্রে রেস্তোঁরাগুলো থেকে শুধুমাত্র পার্সেল খাবার কিনতে পারবে।
২। সব ধরণের বড় জমায়েতগুলি যেমনঃ মেলা, সভা-সমাবেশ, বিয়ে,জন্মদিনের অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
৩। জনসাধারণকে অহেতুক ভ্রমণ ও চলাচল করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
৪। পর্যটকদের ঘোরাঘুরির ক্ষেত্রে হোটেলগুলিতে রাতে অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৫। অফিসগুলোকে যতটা সম্ভব বাসা থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তবে কোন জরুরি বৈঠকের ক্ষেত্রে ১০ জনের বেশি জমায়েত নিষেধ করা হয়েছে।
৬। পারিবারিক দেখা সাক্ষাতের ক্ষেত্রে দুটি পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
৮। সকল প্রকার প্রেক্ষাগৃহ এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলো এই নিয়মের অন্তর্ভুক্ত থাকবে এমনকি অন্যান্য বিনোদনকেন্দ্র যেমনঃ সুইমিংপুল, জিম এবং সানাস (স্টিম বাথ)ও বন্ধ থাকবে।
- বিধিনিষেধ-এর আওতা মুক্ত থাকবেঃ
১। মাধ্যমিক স্কুল এবং কিন্ডারগার্টেনগুলি উন্মুক্ত থাকবে।
২। সাংবিধানিক নিয়মের কারণে চার্চ পরিষেবা এবং বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
৩। নার্সিংহোম বা বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দাদের তাদের পরিবারের সাথে দেখা সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হবে।
৪। মল বা বড় সুপার শপগুলি খোলা থাকবে, তবে প্রতিটি ১০ বর্গমিটার জায়াগা সম্পূর্ণ হতে হবে।
তাছাড়াও জনসম্মুখে বাস ট্রাম থেকে শুরু করে বাস-স্টেশন, রেল-স্টেশন গুলোতে মাস্ক এবং শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মের্কেল বলেন, করোনার প্রথম ধাক্কা আমরা খুব ভাল ভাবেই সামলে উঠতে পেরেছিলাম, তবে এবারের অবস্থা কিছুটা গুরুতর তাই সকল নাগরিকের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।
তিনি আরও বলেন, তীব্র জাতীয় স্বাস্থ্য জরুরী অবস্থা এড়াতে আমাদের এখনই এক সাথে কাজ করতে হবে ।