জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হলো ৩০ সংগঠনকে

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাত ৮টায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ইয়াং বাংলা আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে, দেশ ও সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়া তরুণদের ৩০ সংগঠনকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় এ সময় বলেন, বিদেশী সহায়তা ব্যতীত নিজস্ব চেষ্টায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেই, করোনা মহামারির মধ্যেও দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েনি।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন দেশ এগিয়ে যাবে। আমরা সমাধান করতে চাই। এটা নেই, ওটা নেই বলে নালিশ শুনতে শুনতে কান ব্যথা হয়ে গেছে।  আমরা তাদের সাথে আছি, যারা সমাধান করতে চায় এবং নেতৃত্ব দিতে চায়।

প্রধানমন্ত্রীপুত্র বলেন, দেশের মানুষই নিশ্চিত করবে কে আগামী দিনের নেতৃত্বে থাকবে। বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠনের জন্য সংগ্রাম করেছেন। আমাদের রাষ্ট্রের তিনটি মূলনীতি সবাইকে ধরে রাখতে হবে। এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান, নাস্তিক সবার অধিকার আছে।

২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর তরুণদের প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলা মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্লোগান ‘জয় বাংলা’র নামে চালু করে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’। এই পুরস্কার প্রদান করা হয় দেশ ও নিজ সমাজের উন্নয়নে কাজ করে যাওয়া তরুণদের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে। এবার দেশ গঠনে কাজ করে যাওয়া তরুণদের ৬০০ সংগঠন থেকে শীর্ষ ৩০ সংগঠনকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের হাতে সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও ল্যাপটপ পৌঁছে দেয়া হবে। এ ছাড়াও শীর্ষ মনোনয়ন পাওয়া সকল তরুণ সংগঠন পাবে সার্টিফিকেট।

এবার প্রথম পর্যায়ে মোট ছয়টি সাব ক্যাটাগরিতে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হবে। ক্যাটাগরিগুলোর মধ্যে ছিল- নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, প্রতিবন্ধীদের ক্ষমতায়ন, ক্ষতিগ্রস্ত ও পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়ন, চরম দরিদ্রদের ক্ষমতায়ন ও যুব উন্নয়ন।

দ্বিতীয় পর্যায়ে সাতটি সাব ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। নির্ধারিত ক্যাটাগরিগুলো হলো- মাদকবিরোধী সচেতনতা কার্যক্রম, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জরুরি কার্যক্রম, পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত কার্যক্রম, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং সচেতনতা কার্যক্রম, সামাজিক-সাংস্কৃতিক উদ্যোগ এবং দুর্যোগ মোকাবিলা ও ঝুঁকি হ্রাস।

বিজয়ী শীর্ষ ৩০ সংগঠন হলো:

ব্লাডমেন হেলথ কেয়ার, মাস্তুল ফাউন্ডেশন (ঢাকা), ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ আর্মি (নোয়াখালী), সেন্ট্রাল বয়েস অব রাউজান (চট্টগ্রাম), মিশন সেইভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (ঢাকা), ফুটস্টেপ বাংলাদেশ (নোয়াখালী), সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন (কুড়িগ্রাম), প্লাস্টিক ইনিশিয়েটিভ নেটওয়ার্ক (পিআইএন), ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (ঢাকা), সাইকিওর অর্গানাইজেশন (জামালপুর), দিপ মেডিক্যাল সার্ভিসেস ও দিপাশা ফাউন্ডেশন (নাটোর), উত্তরণ যুব সংঘ, মৌলভীবাজার পহরচাঁদা আদর্শ পাঠাগার, কক্সবাজার সিনেমা বাংলাদেশ (লক্ষ্মীপুর), হ্যাপি নাটোর (নাটোর), ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় (রাজশাহী), অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন (পটুয়াখালী), ইগনাইট ইয়ুথ ফাউন্ডেশন, উন্মেষ (রাঙ্গামাটি), গুডফিল্ম (বরিশাল), এক টাকায় শিক্ষা (চট্টগ্রাম), মিজারেবল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশান, হাতে খড়ি ফাউন্ডেশন, ইয়ুথ ফর চেঞ্জ বাংলাদেশ (বরিশাল), পজিটিভ বাংলাদেশ, দেশি বলারস, আইটেক স্কুল (চাঁদপুর), বাংলাদেশ হুয়িল চেয়ার স্পোর্টস ফাউন্ডেশন (ময়মনসিংহ), সেন্টার ফর রাইটস এন্ড অ্যাম্প: ডেলেপমেন্ট অব পার্সন উইথ ডিসঅ্যাবিলিটিস, হবিগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশান ফর অটিজম এন্ড সোশ্যাল ইমপ্রুভমেন্ট (হবিগঞ্জ)।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *