ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন ঘিরে উৎসবের আমেজ

ঝিনাইদহে জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন আগামীকাল ১৩নভেম্বর ২০২২ রোববার। দীর্ঘ সাত বছর পর অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনকে ঘিরে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ পরিলক্ষিত হচ্ছে। সর্বশেষ ২০১৫সালের ২৫মার্চ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আগামীকাল শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ড মাঠে সম্মেলন উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশের আয়োজন করেছে দলটি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের ১৭মে সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও তখন সম্মেলন সাময়িক স্থগিত করা হয়। পরে ১৩ নভেম্বর সম্মেলনের নতুন দিনবার্য হলে হতাশার মধ্যেও কিছুটা উৎসবমুখরতা ফিরে এসেছে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। দীর্ঘদিন পর সম্মেলনকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। চলতি বছরে জেলায় বড় দুটি নির্বাচনে(জেলা পরিষদ ও পৌরসভা) নৌকার প্রার্থীরা পরাজিত হয়। নৌকার প্রার্থী পরাজিত হওয়ায় দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে অনেকটাই হতাশা ছড়িয়ে পড়ে। এখন সম্মেলনকে ঘিরে নেতা- কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে শহরের প্রতিটি সড়কের গাছ ও দেয়ালে শোভা পাচ্ছে বড় বড় ব্যানার-ফেস্টুন। সম্মেলনের মঞ্চ প্রস্তুতির কাজও শেষের দিকে। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার গঠনের পর একাধারে তিন মেয়াদে দীর্ঘ ১৪ বছর ক্ষমতায় দেশের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই দলটি। ক্ষমতা গ্রহণের শুরু থেকে পৌর, উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদসহ যেকোনো নির্বাচনে দলের মধ্যে গ্রুপিং ও দ্বিধাবিভক্তি থেকেই আলাদা আলাদা প্রার্থী অংশ নেওয়ায় গ্রুপিং প্রকাশ্যে আসে। অসন্তোষ তৈরি হয় ত্যাগী নেতাদের মধ্যেও। এ সময়ে দলের প্রবীণ ও ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন না করায় অনেককে দালের কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে দেখা গেছে। জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে আজকের আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছি। আমি চেষ্টা করেছি, আওয়ামীলীগের সকল নেতা-কর্মীদের একসঙ্গে একই ধারায় প্রবাহিত করে দলকে সংগঠিত রাখার। তবে যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন জেলা আওয়ামীলীগ অনেক ভালো অবস্থানে আছে। আশা করি, সামনের সম্মেলনে বিগত দিনের সফলতা দেখে দল আমার ওপর আস্থা রাখবে। জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি ও সংসদ সদস্য আব্দুল হাই বলেন, নেতৃত্বের বিষয়ে দ্বন্দ্ব মানুষের মধ্যে থাকবে। তবে আমি চেষ্টা করেছি সব বিভেদ ভুলে দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে। প্রধানমন্ত্রী যে নেতৃত্ব দেবেন সেটা মেনে নেব।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *