ডা. রাকিব হত্যার প্রতিবাদে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএমএ

রাইসা ক্লিনিকের পরিচালক ডা. মো. আব্দুর রকিব খান (৫৯) হত্যার ঘটনায় সব আসামি ধরা  না পড়া পর্যন্ত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) । তবে এর আওতার বাইরে থাকবে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও করোনা হাসপাতাল।

বুধবার (১৭ জুন) বিকেলে সাড়ে ৪ টায় বিএমএ খুলনার সভাপতি ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ।

তিনি বলেন, ডা. রকিবের হত্যার ঘটনার সব আসামিদের গ্রেফতার ও খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বুলবুলের প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকের চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করবে।

এদিকে এর আগে দুপুরে বৃষ্টিতে ভিজে মহানগরীর সাত রাস্তার মোড়ে বিএমএ, বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএইচসিডিওএ) ও বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল প্র্যাক্টিশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমপিএ) আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

নগরীর মোহাম্মদ নগরের পল্লবী সড়কের বাসিন্দা আবুল আলীর স্ত্রী শিউলী বেগমকে ১৪ জুন সিজারের জন্য রাইসা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই দিন বিকেল ৫টায় অপারেশন হয়। বাচ্চা ও মা প্রথমে সুস্থ ছিলেন। পরে রোগীর রক্তক্ষরণ হলে ১৫ জুন সকালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরাও রোগী রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে ১৫ জুন রাতে শিউলী বেগমের মৃত্যু হয়।

রাতেই এ ঘটনায় সম্ভাব্য হামলাকারী রোগীর স্বজন কুদ্দুস, আরিফ, সবুরসহ কয়েকজন নারী। তারা ১৫ জুন রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে ডা. রকিবকে লাথি ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার মাথার পেছনে জখম হয়। তাকে প্রথমে গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শেখ আবু নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তিনি শুধু রাইসা ক্লিনিকের মালিক নন বাগেরহাট মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) অধ্যক্ষও ছিলেন। এছাড়া সিনিয়র এ চিকিৎসক বিসিএস স্বাস্থ্য প্রশাসনে পরিচালক পদমর্যাদায় চাকরি করতেন। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনার আজীবন সদস্য ছিলেন ডা. রকিব।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *