নলডাঙ্গায় বিস্কুট খাওয়া নিয়ে শিশুকে গলা টিপে হত্যা: ঘাতক আটক

সুবর্ণচরের

নলডাঙ্গায়

নলডাঙ্গায় বিস্কুট খাওয়াকে কেন্দ্র করে আহসান হাবিব (০৬) নামে এক শিশুকে গলা টিপে হত্যা করেছে প্রতিবেশী মোঃ আসিফ হোসেন (১৫) নামে এক যুবক। এঘটনায় তাকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার মহিষডাঙ্গা কারিগর পাড়া গ্রামের নির্মাণাধীন একটি নতুন বাড়িতে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যার দিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরদেহটি পার্শ্ববর্তী একটি ভুট্টার ক্ষেতে রেখে আসে আসিফ। পরে রাতে আসিফ নিজেই স্বজনদের খবর দেয় আহসান হাবিবকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক ভাবে এলাকায় মাইকিং করে সন্ধান চাওয়া হয়। এক পর্যায়ে আহসান হাবিবের বাবা ওই বাড়িতে গিয়ে সন্তানের স্যান্ডেল দেখতে পান।

এসময় আসিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হত্যার দায় স্বীকার করে এবং তার কথামত ভুট্রার ক্ষেতে গিয়ে আহসান হাবিবের মরদেহ খুঁজে পান স্বজনরা। একই সঙ্গে তারা আসিফকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১২ টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে আহসান হাবিবের মরদেহটি উদ্ধার করেন। নিহত আহসান হাবিব ওই গ্রামের মোঃ লুৎফর রহমানের ছেলে। আর ঘাতক আসিফ একই গ্রামের মোঃ নাজির হোসেনের ছেলে। আহসান হাবিব ও আসিফ সম্পর্কে দুইজন আপন চাচাতো-জেঠাতো ভাই বলে জানা গেছে।

নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মৃধা এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, রবিবার দুপুরের দিকে আসিফ এক প্যাকেট বিস্কুট খাওয়ার উদ্দেশ্যে তাদের নির্মানাধীন নতুন বাড়ির একটি কক্ষের মধ্যে রাখে। এসময় তার চাচাতো ভাই আহসান হাবিব ওই ঘরে গিয়ে কিছু পরিমান বিস্কুট খেয়ে ফেলে। এনিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আসিফ। এক পর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে আহসানকে চর থাপ্পর মারে। এতে আহসান হাবিব উল্টো গালি দেয় আসিফকে। এসময় তাৎক্ষনিক ভাবে আহসান হাবিবের গলা চেপে ধরে আসিফ। এতে আহসান হাবিব শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

পরে বিষয়টি ধামা চাপা দিতে আসিফ সন্ধার দিকে আহসান হাবিবের মরদেহটি সরিয়ে তাদের ওই বাড়ি থেকে প্রায় দুই’শ গজ দুরে একটি ভুট্রা ক্ষেতে ফেলে রেখে আসে। দিনগত রাতে আহসান হাবিবের পরিবারকে সে নিজেই জানায় আহসান হাবিবকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করে মাইকিং করে তার সন্ধান জানতে চায়। এক পর্যায়ে আসিফ নিজেই লোকজনকে ভুট্রার ক্ষেতে খোঁজার কথা বলে।

এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সাইদুর রহমান জানান, আসিফের বাবা বর্তমানে বিদেশে থাকেন। তাই আসিফ এলাকায় বেপরোয়া জীবন যাপন করতো। এজন্য এলাকাবাসীও তার ওপর বিরুপ ছিলেন।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *