বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে জেমকন খুলনা। নাটকীয় ফাইনালে পাঁচ রানে জিতেছে মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহর দল।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে দলের হয়ে একাই লড়েন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার ফিফটিতে ভর করে চট্টগ্রামকে ১৫৬ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় তারা। জবাবে ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৫০ রান তুলেই গুটিয়ে যায় চট্টগ্রামের ইনিংস।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনার দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দেখে শুনে খেলতে থাকেন সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। শুভাগত হোমের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে একবার জীবন পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি সৌম্য।
এক বল বিরতি দিয়ে হোমের ডেলিভারিতেই বোল্ড হয়ে ১২ রানে সাজঘরে ফেরেন এ বাঁহাতি ওপেনার। ৭ রানের বেশি করতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন। আল আমিনের বলে লেগ বিফোরের শিকার হন চট্টগ্রাম অধিনায়ক।
ব্যক্তিগত ২৩ রানে লিটন দাস রান আউট হলে বেশ চাপে পরে চট্টগ্রাম। সৈকত আলী ও শামসুর রহমানের ব্যাটে ম্যাচে টিকে ছিল দলটি। তবে প্রয়োজনের তুলনায় কম গতিতে রান তুলতে থাকেন তারা দুজন। ফলে বাড়তে থাকে রিকোয়ার্ড রান রেটের চাপ। এ সুযোগে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করতে থাকেন খুলনার বোলাররা। যার কারণে ম্যাচে আরো পিছিয়ে পরে চট্টগ্রাম।
শামসুর ২৩ রানে ফেরার পর ক্রিজে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। অপরপ্রান্তে ব্যাট চালাতে থাকেন সৈকত আলী। দুই সৈকতের ব্যাটে আবারো ম্যাচে ফেরে চট্টগ্রাম।
শেষ ওভারে মিঠুনের দলের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। শহিদুল ইসলামের করা তৃতীয় বলে মোসাদ্দেক আউট হলেই খুলনার দিকে ম্যাচ অনেকটাই হেলে পরে। পরের বলে ৫৩ রান করা সৈকতকে বোল্ড করলে রিয়াদের দলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়।
শেষ বলে নাহিদুল ইসলাম ছক্কা হাঁকালেও সেটা শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে। খুলনার হয়ে দুই উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন হোম, আল আমিন হোসেন ও হাসান মাহমুদ।
এর আগে, টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে ম্যাচটি শুরু হয়।
খুলনার হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন জহুরুল ইসলাম ও জাকির হাসান। মুখোমুখি প্রথম বলেই জহুরুলের উইকেট তুলে নেন চট্টগ্রামের নাহিদুল ইসলাম। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাতে তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন পেতে যাচ্ছে মডার্নার টিকা
ইমরুল কায়েসও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি ফেরেন ৮ রানে। বড় ইনিংসের আশা দেখালেও ২৫ রানের বেশি করতে পারেননি জাকির। শুরুতেই ৩ উইকেট হারানোর পর রিয়াদের সঙ্গে ৪০ রানের জুটি গড়েন আরিফুল হক। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি করেন ২১ রান।
সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলে যান রিয়াদ। তিনি ৩৮ বলে ফিফটি পূরণ করেন। শেষ পর্যন্ত ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন এই অলরাউন্ডার। তার দৃঢ়তায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান করে খুলনা।
অন্যদের মাঝে শুভাগত হোম ১৫, শামিম হোসেন ০, মাশরাফী ৫ রান করেন। চট্টগ্রামের বোলারদের মাঝে নাহিদুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।