নাটোরে পৃথক দুটি ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

নাটোরের বড়াইগ্রামে সাত বছর বয়সী এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় তার চাচাতো ভাই মনিরুল ইসলাম (২০)-কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মনিরুল ইসলাম উপজেলার তিরাইল গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার বাড়ির সদস্যরা গৃহস্থালী কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে মনিরুল চকলেট দেওয়ার প্রলোভনে তার চাচাতো বোনকে নিজ ঘরে ডেকে নেয়। পরে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। এ সময় শিশুটির চিৎকারে স্বজনরা এগিয়ে এলে মনিরুল কৌশলে পালিয়ে যায়। এরপর একটি মহল বিষয়টি গোপনে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। তবে অবশেষে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে গেলে বুধবার মনিরুলকে আটক করেছে পুলিশ ।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ধর্ষণ চেষ্টার দায়ে অভিযুক্ত মনিরুল ইসলামকে আটক করে কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, নাটোরের গুরুদাসপুরে সাত বছরের শিশু সোহানকে যৌন নিপীড়ন করার মামলায় তিনজন অভিযুক্তের মধ্যে একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া হৃদয় (১৪) নামের কিশোরকে বুধবার নাটোর কারাগারে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। উপজেলার খুবজীপুর স্কুলপাড়া গ্রামে ২৭ মে সন্ধ্যা ৭ টায় ওই যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে। এতে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফুঁসে উঠলে অভিযুক্তরা গা ঢাকা দেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পার্শবর্তী বামনবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর সোহাগ আলীর ছেলে সোহান (৭) তার নানা সাইদুল ইসলামের বাড়িতে থেকে খুবজীপুর সরকারি প্রাথমিক স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ঘটনার দিন প্রতিবেশি কামরুল ইসলামের ছেলে হৃদয় (১৫), আরশেদ আলীর ছেলে জামরুল (১৬) ও জালালের ছেলে মারুফ (১৪) শিশুটিকে যৌন নিপীড়ন করে। ঘটনার পর শিশুটিকে আহত অবস্থায় স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নেওয়া হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলার পরিপ্রেক্ষিতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুজনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *