নোবিপ্রবিতে সকল প্রকার নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। এ সময় অস্থায়ীভাবে নিয়োগকৃত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণেরও দাবি জানানো হয়। বিশ্বববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে সামনে বিশ্বববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও অফিসার্স এসোসিয়েশনের যৌথ  উদ্যোগে এই মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক মজনুর রহমান, সহ-সভাপতি ড. আনিসুজ্জামান রিমন, সাবেক স্পিকার আব্দুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, ফিসারিজ এণ্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন পলাশসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা,কর্মচারীর নেতৃবৃন্দসহ আরও অনেকে।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজনু রহমানের সঞ্চচালনায় বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, এগ্রিকালচার বিভাগের প্রভাষক রায়হান আহমেদ রিমন ও এপ্ল্যাইড কেমিস্ট্রি এণ্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক সাদিয়া আফরোজ, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন পলাশ, কর্মচারীদের পক্ষ থেকে টিটু দাস।

অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান প্রশাসন কারো রাজনীতি বুঝি না। আমরা বুঝি শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে যতদ্রুত সম্ভব অস্থায়ী কর্মকর্তাদের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে স্থায়ীকরণ করা হয়।’

শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন , ‘করোনা মহামারির সময়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিরালসভাবে জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ীভাবে নিয়োগকৃত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ না হওয়ায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। অস্থায়ী শিক্ষকদের নিয়োগের ১ বছর পর স্থায়ী শিক্ষকদের নিয়োগ হলেও তাদের প্রমোশন হচ্ছে। কিন্তু অস্থায়ী শিক্ষকদের প্রমোশন হচ্ছে না। এছাড়া অস্থায়ী শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ না হওয়ার ফলে তারা উচ্চশিক্ষার জন্য ভালো ভালো স্কলারশিপ পেলেও যেতে পারছেন না।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণের কথা চিন্তা করে আমরা এতোদিন কোন কঠোর আন্দোলনে যাইনি। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সবাইকে সাথে নিয়ে  আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *