পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতের কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) রাত থেকেই ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। শুক্রবার (১৭ জুলাই) সকালে ‘ট্রায়াল’ হিসেবে শিমুলিয়া ঘাট থেকে দুটি ফেরি ছাড়া হলেও সেগুলো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। এছাড়া এদিন আর কোনো ফেরি চলাচল করে নি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) এর শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার সকালে রো রো ফেরি শাহ মখদুম ও ফেরি ক্যামেলিয়া শিমুলিয়া ঘাট ছেড়ে যায়। কিন্তু, পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে দুইটি ফেরির কোনটিই চ্যানেলে প্রবেশ করতে পারেনি। বেলা ৩টার দিকে ফেরি ক্যামেলিয়া পুনরায় শিমুলিয়া ঘাটে ফিরে আসে। কিন্তু, রো রো ফেরি শাহ মখদুম চ্যানেল থেকে ছিটকে নদীর ভাটিতে গিয়ে নোঙর করেছে। এই ফেরিটির প্রপেলারে পানির সঙ্গে ভেসে আসা গাছ-গাছালি আটকে গেছে। এতে করে ফেরির ইঞ্জিন পূর্ণ শক্তিতে কাজ করতে পারেনি। অন্যদিকে, ইঞ্জিনের একটি পাইপও ফেঁটে যায়। ফেরিটিকে উদ্ধার করতে আইটি ৯৪ নামে উদ্ধার জাহাজ পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার করা হলে ফেরি শাহ মখদুম কাঁঠালবাড়ি ফেরি ঘাটে নেওয়া হবে।’
পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সামনের আরও কয়েকদিন এমন অচলাবস্থা চলতে পারে বলে বিআইডব্লিউটিসি’র কর্মকর্তারা মনে করছেন।
শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ‘নদীর স্রোতের তুলনায় ফেরির ইঞ্জিনের সক্ষমতা কম। তাই, নদীর অবস্থা যদি এমন থাকে তাহলে এ রুটে ফেরি চলাচল আরও কয়েকদিন ব্যাহত হবে। তবে তা ঠিক কতদিন তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: ইমামকে পিটিয়ে জখম করলো মসজিদ কমিটির সভাপতি
এদিকে, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ঘাটে প্রায় ৬শ’ যানবাহন আটকে আছে। মাওয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হিলাল উদ্দিন জানান, ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাটে গাড়ি জমে গিয়েছে। প্রতি মুহূর্তে গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাত্রী ও চালকরা অস্থির হয়ে উঠছেন। তাদেরও অনেক ভোগান্তি হচ্ছে।