পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নব নির্বাচিত সভাপতি ও সম্পাদককে ফুলেল শুভেচ্ছা

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা কমিটির নব নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় ও মতবিনিময় সভা করে রাঙামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা।

৩০ আগসট (রবিবার) সন্ধ্যায় পিসিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ও বাঘাইছড়ি পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর কবির, পিসিএনপি রাঙামাটি জেলার নব নির্বাচিত সভাপতি শাব্বির আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোলায়মান, দপ্তর সম্পাদক মোঃ হাবীব আজম, প্রচার সম্পাদক মোঃ হুমায়ন কবির, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নূর হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় রাঙামাটি জেলা ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ নাজিম আল হাসান, মোঃ তাজুল ইসলাম তাজ, মোঃ মামুনুর রশীদ, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মূসা, জাকির হোসেন, মোঃ সোলায়মান, মোঃ সোহেল, রাজু প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, জুম্মল্যান্ড বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে দেশদ্রোহী সংগঠন জেএসএস ও ইউপিডিএফের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় জনগোষ্ঠী নিজেদের হঠাৎ করেই আদিবাসী দাবী করতে শুরু করে। কেননা, আদিবাসী স্বীকৃতি পেলে আইএলও কনভেনশন-১৬৯ এবং জাতিসংঘের আদিবাসী বিষয়ক চার্টার-২০০৭ অনুযায়ী জুম্মল্যান্ডের স্বপ্ন বাস্তবায়ন সহজ হয়ে যাবে। আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন আদিবাসীর দাবি এমন একটা জনগোষ্ঠী থেকে উচ্চারিত হচ্ছে যারা ৪২ বছর ধরে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে। কৌশলগত কারণে তারা স্বায়ত্তশাসনের কথা যতোটা উচ্চকিত করে স্বাধীনতার কথা ততোটা নয়। ফলে দেশের অধিকাংশ মানুষই রাষ্ট্রবিরোধী এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সম্যক ওয়াকিবহাল নয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইউটিউবে করুণালঙ্কার ভান্তে নামে জেএসএসের এক শীর্ষ নেতার ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়েছে। বৌদ্ধ ভিক্ষুর বেশধারী এই ব্যক্তি নিজেকে স্বাধীন জুম্মল্যাণ্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিচয় দিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বাধীন জুম্মল্যান্ড প্রতিষ্ঠায় তার কর্মতৎপরতার কথা বিস্তারিতভাবে বলেছেন। অডিও-ভিডিও’র এই স্বাক্ষাৎকারে ভান্তে আরো জানিয়েছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বাধীন করার মতো পর্যাপ্ত অস্ত্র তাদের হাতে রয়েছে। এখন তিনি শুধু ৫ লক্ষ গোলাবারুদ সংগ্রহের চেষ্টা করছেন।

এই পরিমাণ গোলাবারুদ সংগ্রহ করতে পারলে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা করে স্বাধীন জুম্মল্যাণ্ড প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই ভিক্ষু সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যেমন পূর্ব তিমুর, দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতা অর্জনের উদাহরণ তুলে ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী তরুণ প্রজন্মকে তার সাথে একাত্ম হতে আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা খ্রিস্টান রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আন্তর্জাতিক শক্তিকে তিনি পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পাবেন বলেও জানিয়েছেন।

বক্তারা আরো বলেন, পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে যখনেই কোনো ক্রান্তিকাল বা সংকট উপস্থিত হয় অথবা সরকার যখন কোনো না কোনো কারণে দূর্বল অবস্থানে থাকে তখনই পাহাড়ের এই রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিগুলো তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা বৃদ্ধি করে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা যেকোনো সঙ্কটের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সে বিবেচনাতেই এই রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা নস্যাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *