বিধবা জহুরা বেগমের পাঁচ সদস্যের পরিবার। থাকেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলীতে। পরিবারের বাকী চার সদস্যের মাঝে দুইজন প্রতিবন্ধী এবং বাকী দুজন উপার্জনক্ষম। পুরো সংসারের দায়িত্ব নেওয়া জহুরা গৃহপরিচারিকার কাজ করেন মানুষের বাসায়। করোনার প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে তার আয়ের সে পথটি বন্ধ হয়ে যায়। যার প্রেক্ষিতে গত দুইমাস ধরে খেয়ে না খেয়ে ক্ষুধার সাথে যুদ্ধ করে কোনরকম বেঁচে আছে এই অসহায় পরিবারটি।
ঠিক এ সময়ে গত ২৫ জুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলি তানভীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই পরিবারের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করলে চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আইন সম্পাদক শামীমুল ইসলাম পাপেলের মাধ্যমে দৃষ্টিগোচর হয় মানবিক নেতা ড. আশরাফুল ইসলাম সজীবের।
শনিবার (২৭ জুন) এই মানবিক রাজনীতিবিদ ওই পরিবারের খবর নিয়ে আগামী এক মাসের খাদ্য সামগ্রী উপহার হিসেবে পাঠায় এবং ভবিষ্যতে যেকোন সমস্যায় ওই পরিবারের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে বলে জানায় ছাত্রনেতা পাপেল।
এবিষয়ে ছাত্রনেতা পাপেল বলেন, গত পরশু (২৫ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি জহুরা বেগম কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। সাথে সাথে আমি কক্সবাজার জেলা আওয়ামিলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক, মানবিক রাজনীতিবিদ ড. আশরাফুল ইসলাম সজীব ভাইকে অবহিত করি। এই খবর পাওয়ামাত্রই ওনি আগামী এক মাসের খাদ্য সহায়তার জন্য টাকা পাঠালে আজ ড. সজীব ভাইয়ের উপহার ওই পরিবারের কাছে তুলে দেয়।
চবি শিক্ষার্থী আলী তানভীর জানান, সাড়ে ৩ কি.মি দূর্গম পথ পায়ে হেটে কৈয়ারবিলের খিলছাদক হয়ে বড়ইতলীর ২নং ওয়ার্ডের শেষপ্রান্তে অবস্থিত জহুরা বেগমের বাড়িতে ড. সজীব ভাইয়ের উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি।
ড. সজীবকে এই সঙ্কটে একজন মানবিক যোদ্ধা হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, সমাজের প্রতিটি মানুষকে এভাবে অসহায়দের সাহায্যে এগিয়ে আসা উচিৎ। মুজিব, ফাহিম ইফতি, আদনান সাখাওয়াত, জুবাইর সহ আরো অনেককে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান এই চবি শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই স্বাস্থ্যবিধির সচেতনতামূলক প্রচারণাসহ নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা নিয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর পাশে থেকেছেন এই মানবিক রাজনীতিবিদ। বিশেষ করে তাঁর নিজ এলাকা কক্সবাজার জেলাধীন চকরিয়া-পেকুয়ার কর্মহীন দরিদ্র মানুষের কষ্ট লাঘবে মূখ্য ভূমিকা রেখেছেন বলে জানায় স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে ড. আশরাফুল ইসলাম সজীবকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা বর্তমান বাংলাদেশে মানুষ না খেয়ে থাকবে তা কোনভাবেই মানা যায়না। প্রাথমিকভাবে এক মাসের খাদ্য সামগ্রী উপহার হিসেবে পাঠিয়েছি। পরবর্তীতেও যেকোন সমস্যায় ওই পরিবারের পাশে থাকব।
আরও পড়ুন: করোনাযুদ্ধে মানুষের পাশে থাকা রাজনীতিবিদ ড. আশরাফুল ইসলাম সজীব
মানুষ মানুষের পাশেই থাকবে- এটাই প্রতিটি মানুষের অঙ্গীকার হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামিলীগের দায়িত্বশী এই নেতা।
বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায় চকরিয়া-পেকুয়ার লোকমুখে এই আওয়ামিলীগ নেতার স্তুতি বহমান। তাদের কাছে একটাই আলোচ্য বিষয় জাতীয় ও মানুষের ক্রান্তিলগ্নে মানুষের দুঃখকে অবধারণ করতে পারে এমন রাজনীতিবিদ শুধু এই অঞ্চলের জন্য নয় সমগ্র দেশের জন্য সম্পদ ও দৃষ্ঠান্ত।