সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ভিত্তি শক্তিশালী করে তুলতে যুক্ত হচ্ছে ‘শিশু শ্রেণি’ নামের নতুন শ্রেণী।
গত মঙ্গলবার (২৩ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানায় সংশ্লিষ্টসূত্র।
পৃথিবীর ৮৫ শতাংশ দেশে সরকারিভাবে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু রয়েছে। এর ৫২ শতাংশ দেশে তিন বছর মেয়াদি এবং ৩৩ শতাংশ দেশে দুই বছর মেয়াদে শিশুদের বিদ্যালয়ে প্রবেশের পাঠ দেওয়া হয়। আগামী বছর থেকে বাংলাদেশও এই তালিকায় যুক্ত হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিশু শ্রেণি নামে পরীক্ষামূলক এই কার্যক্রমে সফলতা এলে ২০২৩ সাল থেকে সব বিদ্যালয়েই শিশু শ্রেণি চালু করা হবে। এজন্য ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে শিক্ষক ও একজন করে আয়া নিয়োগ দেওয়া হবে।
জানা গেছে, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণির আগে সীমিত পরিসরে এক বছরের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু আছে। তবে আগামী বছর থেকে দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু হবে। এ জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে একটি করে নতুন শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ হবে। এই ক্লাসে ভর্তি হতে শিশুদের সর্বনিম্ন বয়স চার বছর হতে হবে।
আরও পড়ুন: চবির ৩৫১ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকার বাজেট অনুমোদন
এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষাকে যুগোপযোগী করে তুলতে দু’বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার প্রয়োজন ছিল। প্রধানমন্ত্রী এটি অনুমোদন দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিকে ‘শিশু শ্রেণি’ নামের এই ক্লাস না থাকলেও কিন্ডারগার্টেনে প্লে ও নার্সারি নামে এই দুটো ক্লাস রয়েছে। আগামি শিক্ষাবর্ষ থেকে সারাদেশের দুই হাজার ৫৮৩ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই শিশু শ্রেণি চালু হলে এই ক্লাসে দু’বছর পড়েই প্রথম শ্রেণিতে উঠতে হবে শিক্ষার্থীদের।