প্রায় ৬০ কিঃ মিঃ গতির ট্রেন পাচ্ছে চবি

পরীক্ষা
ফাইল ছবি

১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার গতিতে দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করে আসছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত শাটলট্রেন। এবার এই ট্রেন ছুটবে ৬০ কিলোমিটার গতিতে। কারণ এ ট্রেন রুটটির সংস্কার কাজ প্রায় শেষের পথে। নতুন প্লাটফর্মের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরত্বের এ রুটের পুরোনো কাঠের ও স্টিলের স্লিপার বদলে বসানো হচ্ছে কনক্রিটের স্লিপার। এতে ট্রেন ছুটবে দ্রুত গতিতে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে চবি শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হবে অত্যাধুনিক নতুন ট্রেন।

জানা যায়, গত বছর ২৪ জুলাই শাটল ট্রেনে চড়ে চবি ক্যাম্পাসে যান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় করেন রেলমন্ত্রী। এসময় চবি শিক্ষার্থীদের জন্য এসি, ওয়াইফাই সুবিধাসহ ১৫ থেকে ১৬ বগির একটি নতুন ট্রেন দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। পাশাপাশি মন্ত্রী চবি রুটের রেললাইনের দুরবস্থার সমালোচনা করেন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কারের নির্দেশ দেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, রেলমন্ত্রীর এমন প্রতিশ্রুতির ১ বছরের মাথায় সুফল পেতে যাচ্ছে চবি শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে রেললাইন সংস্কার, প্লাটর্ফম নির্মান, স্লিপার পরিবর্তনসহ সংস্কার কাজ চলছে পুরোদমে। সংস্কার কাজ ৮০ শতাংশ শেষও হয়েছে। আগষ্ট মাসের মাঝামাঝিতে তা পুরোপুরি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা জানা গেছে, রেললাইনের সংস্কারকাজ শেষ হলে এ রুটে ট্রেন চলবে ৬০ কিলোমিটার গতিতে। আগে গতি ছিলো ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার।

এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. সুবক্তগীন বলেন, ‘আমরা চবি রুটের রেললাইন সংস্কারের কাজ করছি। ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশ কাজ শেষ করেছি। এখানে আগে পুরোনো কাঠের ও স্টিলের স্লিপার ছিল। আমরা সেগুলো পরিবর্তন করে কনক্রিটের স্লিপার দিচ্ছি। সংস্কার কাজ শেষ হলে এই রুটে ৬০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলবে। আগে চলতো ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার গতিতে। গত বুধবার আমি নিজেই কাজ পরিদর্শন করে এসেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘চবি প্লাটফর্মের কাজ কিছুটা শেষ হয়েছে। আমরা সেখানে আরও কাজ করবো। ওখনকার লাইনগুলো সব নতুন হবে। মাননীয় মন্ত্রী চাচ্ছেন কাজটা দ্রুত শেষ হলে তিনি এখানে একটা নতুন ট্রেন দিবেন।’

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সরদার শাহাদাত আলী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন ট্রেনের বিষয়ে কিছুদিন আগেও মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে আলাপ করেছি। চবি রুটে নতুন ট্রেন দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া আছে। করোনার কারণে সবকিছু বন্ধ থাকায় এটা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে চবি রুটে একটি নতুন ট্রেন দেওয়া হবে।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *