বন্যায় সিংড়ায় মৎসখাতে ১৫দিনে ক্ষতি ৩২৭লাখ টাকা

মাত্র ১৫দিনের বণ্যায় চলনবিলের মৎস্যখাতে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ৩২৭ লাখ টাকা। হঠাৎ করে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে ভেসে গেছে অন্তত ২৪৪জন চাষীর মাছ। এতে করে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে চলনবিলের মৎস্যচাষীরা। তাদের দাবি, বন্যায় মৎস্যখাতে ক্ষতি হলেও সরকারের কোন প্রনোদনা পাওয়া যায় না। এতে করে অনেক মৎস্যচাষী পথে বসার উপক্রম হয়েছে।

সিংড়া উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, চলতি মাসের শুরুর দিক থেকে চলনবিলে বণ্যার পানি প্রবেশ করে। এরপর বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে ক্ষতির মুখে পড়তে তাকে চলনবিলে মৎস্য চাষীরা।

মৎস্য অফিসের তথ্য বলছে, গত ১৬ জুলাই পর্যন্ত সিংড়া উপজেলায় বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ২৪৪জন মৎস্য চাষীর ৩২০টি পুকুর। এরমধ্যে মাছের পরিমান রয়েছে ১২০মেট্রিক টন, আর পোনা মাছ রয়েছে ১ মেট্রিক টনের বেশি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ক্ষতির পরিমান দাঁড়িয়েছে ৩২৭লাখ টাকা।

উপজেলার ভাগনাগরকান্দি এলাকার মৎস্য চাষী মিলন হোসেন বলেন, হঠাৎ করেই বন্যায় পুকুরের সকল মাছ ভেসে গেছে। তারপরও জাল দিয়ে মাছ রক্ষার চেস্টা করছি আমরা। আমার মতো অনেক মৎস্যচাষীর এখন মাথায় হাত। আমরা ক্ষতির স্বীকার হলেও কখনও সরকারী প্রনোদনা পাই না। কৃষিতে যে ভাবে প্রনোদনা দেওয়া হয়, মৎস্যখাতে সে ভাবে কোন প্রনোদনা আসে না। আমরা মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সিংড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার ওয়ালী উল্লাহ মোল্লাহ বলেন, চলতি মাসের শুরু থেকে বন্যায় মৎস্য খাতে ক্ষতির পরিমান নির্নয় করে আমরা নিয়মিত প্রতিবেদন প্রেরণ করছি। তবে মৎস্যখাতে সরকারের কোন প্রনোদনা না আসায় চাষীদের প্রনোদনা দেওয়া সম্ভব হয় না। প্রনোদনা আসলে মৎস্যচাষীদের দিলে তারা কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারতো।

তবে বৃহস্পতিবার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সাংবাদিকদের বলেন, সকল দপ্তরকে ক্ষতির পরিমান এখন থেকেই নির্নয় করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলনবিলের মৎস্য চাষীরা যাতে করে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীর সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *