কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) একটি মোবাইল পাচারচক্রের সন্ধান পেয়েছে। কলকাতার দুই হাজার টাকার চোরাই মোবাইল বাংলাদেশে এনে তা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। জেরায় জানা গেছে, কয়েকটি ব্র্যান্ডের মোবাইলের দাম কলকাতার তুুুলনায় বাংলাদেশে প্রায় দ্বিগুণ।
কলকাতার স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মধ্য কলকাতার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের একটি গেস্টহাউস থেকে জাহাঙ্গীর ও আবদুল গফফর নামক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জাহাঙ্গীর হচ্ছেন চট্টগ্রামের বাসিন্দা এবং তার সঙ্গী গফ্ফর নদীয়ার গাংনাপুরের বাসিন্দা। উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন কোম্পানির ১০৭ টি স্মার্টফোন।
আটককৃত ব্যক্তিদ্বয় থেকে জানা গেছে, কয়েকটি ব্র্যান্ডের মোবাইলের দাম কলকাতার তুলনায় বাংলাদেশে প্রায় দ্বিগুণ। বাংলাদেশে এসব মোবাইলের চাহিদা অনেক। চোরাই বাজার থেকে এই ধরনের মোবাইল ২ থেকে ৫ হাজার টাকায় কিনে নিয়ে যায় বাংলাদেশি পাচারকারীরা। বাংলাদেশে ওই মোবাইলের বাইরের অংশ কিছুটা পরিবর্তন করে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। কয়েক বছর আগে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্কফোর্স এ রকম প্রায় ৩৫০টি মোবাইল উদ্ধার করেছিল।
আটকদের কাছ থেকে আরো জানা গেছে, প্রতিদিন কলকাতা বা শহরতলিতে যেসব মোবাইল ফোন চুরি হয়, তা শহরের কয়েকটি নির্দিষ্ট চোরাইবাজারে বিক্রি হয়। এই বাংলাদেশি চক্র সেই বাজারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। তারা বন্দর এলাকার এ রকম একটি চোরাই বাজার থেকে এই মোবাইলগুলো কিনেছিল।
বাংলাদেশি এই মোবাইল পাচারচক্র এখন কলকাতা পুলিশের মাথাব্যথার কারণ। কলকাতা পুলিশের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, প্রথম সমস্যা, আমাদের এখানে যে মোবাইল চুরি হচ্ছে সেগুলো বাংলাদেশে চলে গেলে আমরা উদ্ধার করতে পারছি না। দ্বিতীয় সমস্যা, এই চোরাই মোবাইল সীমান্ত পেরিয়ে কোনও জঙ্গি দলের সদস্যদের কাছে পৌঁছলে সেটা আরও চিন্তার বিষয়।