“বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিকে ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি হিসেবে দেখতে চাই” দেওয়ান মো: আল-আমিন

শিক্ষানুরাগী দেওয়ান মোঃ আল-আমিন সুদীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে কাজ করছেন মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের তিনি মমতা ও ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখেন। তিনি সর্বদা শিক্ষার্থীদের ভালো- মন্দ বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে ভুলেন না।এলাকার জনমানুষের কাছে তিনি একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে সুপরিচিত। তিনি সাদামাটা জীবনে অভ্যস্ত। নিজের আদর্শ ধরে রাখতে চান আমৃত্যু। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির সহকারী প্রক্টর ও আইন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দেওয়ান মোঃ আল-আমিন ১৯৮০ সালের ২৪শে আগস্ট নারায়ণগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে ১৯৯৬ সালে এসএসসি সম্পন্ন করেন এবং মানবিক বিভাগে মেধা তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থান অর্জন করেন। তিনি একই কলেজ থেকে ১৯৯৮ সালে সম্মানের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন এবং মেধা তালিকায় ১৭ তম স্থান অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ২০০৭ সালে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, খুলনাতে প্রথম আইন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং সেখানে দুই বছর অতিবাহিত করেন। পাশাপাশি তিনি ২০০৯ সালেই অ্যাডভোকেট শীপ সনদ অর্জন করেন। ওকালতি চর্চার পাশাপাশি তিনি শিক্ষকতা পেশাও চালিয়ে যেতে থাকেন এবং ২০১০ সালে তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আইন বিভাগের সিনিয়র লেকচারার হিসেবে নিযুক্ত হন । এরপর তিনি সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে (SU) লেকচারার হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ২০১১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত সেখানে কর্মরত ছিলেন এবং একই বছরে অর্থাৎ ২০১৩ সালেই হাইকোর্টের সনদ লাভ করেন। হাইকোর্টের সনদ লাভের পর তিনি তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র জনাব এস.এম.মুনির সাহেবের সাথে ২ বছর প্র্যাকটিস করেন। জনাব এস.এম.মুনির স্যার বর্তমানে বাংলাদেশের একজন অতিরিক্ত এটার্নি জেনারেল। কিন্তু বাল্যকাল থেকেই শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ থাকায় দেওয়ান মোঃ আল-আমিন ওকালতি ছেড়ে পেশা হিসেবে শিক্ষকতাকে মহান আদর্শ ও মহৎ পেশা হিসেবে বুকে ধারণ করেন।

শিক্ষকতাকে কেন তিনি পেশা হিসেবে বেছে নিলেন এ প্রশ্ন করায় তিনি আরো বলেন,”আমি মনে করি: একটি বই, একটি কলম, একটি শিশু এবং একজন শিক্ষক বিশ্বকে পরিবর্তন করতে পারে। শিক্ষক হলেন জাতির আলোকবর্তিকাবাহী এবং মানব জাতির ভবিষ্যতের রূপকার। তিনি আমাদের বন্ধু, দার্শনিক এবং পথপ্রদর্শক। শুধু পুঁথিগত বিদ্যাই নয়, শিক্ষকদের থেকে শিক্ষার্থীরা নৈতিকতা ও মূল্যবোধের শিক্ষাও অর্জন করে। শিক্ষকতাই একমাত্র পেশা যেখানে সকলের শ্রদ্ধা ও সম্মান পাওয়া যায়। ফলস্বরূপ, তিনি ২০১৪ সালে দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটিতে পুনরায় সিনিয়র লেকচারার হিসেবে নিযুক্ত হন এবং পদোন্নতি পেয়ে সহকারী অধ্যাপক ও প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পান এবং সুনামের সহিত দুই বছর অতিবাহিত করেন।এরপর তিনি ২০১৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটিতে সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে সহকারী অধ্যাপক ও আইন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি সহকারী প্রক্টর ও শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (BUDS) এর মডারেটর। এগুলো ছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলা,সাংস্কৃতিক ও সমাজ সেবামূলক কর্মকাণ্ডের সাথেও সংযুক্ত।

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি নিয়ে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি হিসেবে আমি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি কে দেখতে চাই। যার জন্য আমার চেষ্টা অব্যাহত। ইউনিভার্সিটির শ্রদ্ধেয় রেজিস্ট্রার ব্রিগেঃ জেনারেল অবঃ মোঃ মাহ্ বুবুল হক স্যার ও শ্রদ্ধেয় ডিরেক্টর টেকনিক্যাল ড. কাজী তাইফ সাদাত স্যারের নেতৃত্বে ও সঠিক দিকনির্দেশনায় এবং ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সুনিবিড় পরিচর্যায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অচিরেই ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল ইউনিভার্সিটিতে রূপান্তরিত হবে বলে আমি আশাবাদী।”

তার বাবা ও মরহুমা মায়ের শেষ ইচ্ছার কারণে শেষ জীবনে হলেও তিনি ব্যারিস্টারি সম্পন্ন করতে চান।
তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তার অনেক শিক্ষার্থী এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত আছেন। শিক্ষক হিসেবে তিনি তার সততা ও আদর্শকে ধরে রাখতে চান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত, এজন্য তিনি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।

 

মর্নিংনিউজ/আই/শাশি

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *