বাগেরহাটে নতুন ৪ জনের করোনা শনাক্ত, ২২ বাড়ি লকডাউন

বাগেরহাটে নতুন করে আরও চারজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। করোনা-আক্রান্ত এই চারজনের বাড়ি শরণখোলা, মোল্লাহাট ও চিতলমারী উপজেলায়। নতুন করে করোনা-আক্রান্ত এই চারজনের বাড়িসহ ২২টি বাড়ি মঙ্গলবার সকালে লকডাউন করা হয়েছে। এই চারজনের করোনা শনাক্তের মধ্যে দিয়ে জেলার করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৪ জনে। এর মধ্যে দুজন মারা গেছেন, আট জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অন্যরা এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নতুন করে করোনা-আক্রান্তরা হলেন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর বাসস্টান্ড এলাকার বাসিন্দা ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এবং বসিলা এলাকার ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার আল-মামুন (২৯)। দেশব্যাপী লকডাউনের শুরুর দিকে প্রায় দুই মাস আগে তিনি নিজ বাড়িতে চলে আসেন। গত ২৭ মে শরণখোলা হাসপাতাল তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠায়। সোমবার রাতে আইইডিসিআর থেকে তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আক্রান্ত আল মামুনকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার বাড়িসহ পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করে করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ নিয়ে শরণখোলায় করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো সাতজনে।

মোল্লাহাট উপজেলায় নতুন করে করোনা-আক্রান্ত দড়িয়ালা পশ্চিম পাড়া গ্রামের সোহেল কামাল (৩৬)। তার করোনা উপসর্গ দেখা দিলে গত ২৭ মে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। সোমবার রাতে আইইডিসিআর থেকে ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কামালের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার বাড়িসহ চারটি বাড়ি লকডাউন করেছে করেছে উপজেলা প্রশাসন।

চিতলমারী উপজেলায় নতুন করোনা-আক্রান্ত দুইজন হচ্ছেন চর কচুড়িয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (২৭) ও নালুয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান (৩৪)। তারা দুইজন ঢাকায় সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতেন। গত ২৬ মে তারা গ্রামের বাড়িতে এলে করোনা উপসর্গ থাকায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগ ২৭ মে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠায়। সোমবার রাতে আইইডিসিআর থেকে তাদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আক্রান্ত দুজনকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শহিদুলের বাড়িসহ ৫ বাড়ি ও হাবিবের বাড়িসহ ৮ বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *