বেলারুশের ঊর্ধ্বতন এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশের পুলিশ বাহিনীকে সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর বিরোধী দলগুলো ক্রমে সহিংস এবং উগ্রবাদী হয়ে ওঠায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন ওই কর্মকর্তা। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত আগস্টে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো পুনরায় জয় দাবি করলে বেলারুশে বিক্ষোভ শুরু হয়। ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে বিক্ষোভকারীরা নির্বাচন বাতিল ও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করছেন। বেলারুশ কর্তৃপক্ষ দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই বিক্ষোভ দমন করতে নিষ্ঠুরতা ও নির্যাতন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজধানী মিনস্কে গত রবিবারও কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে।
সোমবার বেলারুশের ফার্স্ট ডেপুটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেনাডি কাজাকেভিচ দাবি করেছেন, বর্তমানে বিক্ষোভের ব্যাপকতা কমে গিয়ে মূলত রাজধানী মিনস্ক কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীরা সংঘবদ্ধ এবং চরম উগ্রবাদীতে পরিণত হয়েছে। বিকেলে বিক্ষোভকারীরা পাথর ও বোতল ছোড়ার পাশাপাশি ছুরিও বের করে আর রাত হলে ভবনের ব্যারিকেডের ওপর হামলে পড়ে আর টায়ার জ্বালায়। এক ভিডিও বার্তায় তিনি দাবি করেন, এটা মোটেই নাগরিক বিক্ষোভ হতে পারে না। আমরা শুধুমাত্র আগ্রাসনের মুখোমুখি হচ্ছি না বরং সন্ত্রাসী, উগ্রবাদী এবং গুন্ডা গোষ্ঠীর মোকাবিলা করছি।
এই বিক্ষোভ দমন করতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরণের শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে। রবিবারের বিক্ষোভের সময় মিনস্কে দেশটির দাঙ্গা পুলিশ আবারও জল কামান এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। সেসময় বহু বিক্ষোভকারীকে লাঠিপেটাও করা হয়। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এদিন আরও সাতশ’রও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা সব মুক্তি এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বেলারুশে মূলত শান্তিপূর্ণ ভাবেই বিক্ষোভ চলছে।