বেদানার যত গুণ

ডালিম বা বেদানা প্রায় সারাবছরই বাজারে পাওয়া যায়। ফলের দোকানে রূপের যাদুতে সবার প্রথমে দৃৃষ্টি আকর্ষণ করবে বেদানা। শুধু রূপের লালিমা নয়, সুমিষ্ট স্বাদে তার জুড়ি মেলা ভার। বেদানার এমন আরো কিছু গুণাগুণ সম্পর্কে আজ জেনে নেওয়া যাক:

চুল পড়ার হার কমে: প্রতিদিন বেদানার রস খেলে হেয়ার ফলের মাত্রা তো কমবেই, সেই সঙ্গে চুলের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে বহুগুণে।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়: প্রতিদিনের ডায়েটে বেদানাকে জায়গা করে দিলে ত্বকের ভিতরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে বলি রেখা অদৃশ্য হতে থাকে। সেই সঙ্গে ডার্ক স্পট এবং ডার্ক সার্কেলেও গায়েব হয়ে যায়। ফলে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।

অ্যানিমিয়ার মতো রোগ দূরে থাকে: এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, যা লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়ে রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই কারণেই তো ছোট থেকেই মেয়েদের নিয়মিত বেদানা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

ডায়াবেটিসের মতো রোগ দূরে রাখে: বেদানা  খাওয়া মাত্র শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মতো রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: নিয়মিত কাঁচা বেদানা অথবা বেদানার রস খাওয়া শুরু করলে ব্লাড ভেসেলে সৃষ্টি হওয়া প্রদাহ কমতে শুরু করে। যার ফলে সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ এতটা বেড়ে যায় যে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না।

দাঁত মজবুত হয়: অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল প্রপাটিজে পরিপূর্ণ এই ফলটি খাওয়া মাত্র মুখ গহ্বরের ভিতরে উপস্থিত ক্ষতিকর জীবাণুরা সব মারা যায়।  ফলে ক্যাভিটির মতো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

জয়েন্টের সচলতা বৃদ্ধি পায়: শরীরে যখন ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমতে শুরু করে তখন এমন কিছু ক্ষতিকর এনজাইমের ক্ষরণ বেড়ে যায় যে জয়েন্টের সচলতা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হাড় এত মাত্রায় দুর্বল হয়ে পরে যে অস্টিওআর্থ্রাইটিস মতো রোগ দেখা দেয়। যে এনজাইমের কারণে হাড়ের ক্ষয় হতে থাকে, বেদানা তার ক্ষরণ কমিয়ে দিয়ে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমিয়ে থাকে।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *