শুক্রবার ইইউ কার্যালয়ের এক জার্নালে, ভোট জালিয়াতির অভিযোগে বেলারুশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশনের প্রধানসহ ৪০ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো এই তালিকায় নেই।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় এই কর্মকর্তাদের ইইউ দেশগুলোতে ভ্রমণ নিষিদ্ধ হওয়া ছাড়াও তাদের সম্পদ জব্দ হবে। ইইউ এর এই নিষেধাজ্ঞার জবাবে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো সরকারও পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে। বেলারুশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে কয়েকজনের একটি তালিকা তৈরির ঘোষণা দিয়েছে তারা।
ইইউ বেলারুশের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছিল সেপ্টেম্বরের শুরুতেই। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার তালিকা চূড়ান্ত করা নিয়ে নেতাদের মধ্যে বিভক্তির কারণে এ পদক্ষেপ কয়েক দফা পিছিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার ব্রাসেলসে নিষেধাজ্ঞার তালিকা নিয়ে অচলাবস্থার অবসান ঘটতে সক্ষম হন ইইউ নেতারা। বেলারুশে প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের সমর্থন দেওয়ার উদ্দেশ্যেই ইইউ এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
বেলারুশে গত ৯ অগাস্ট প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণের পর প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে লুকাশেঙ্কো ফের বিজয়ী হয়েছেন বলে ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বিরোধী দলগুলো ভোটের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং ভোটের ফল প্রত্যাহার করে ওই দিন রাত থেকেই বিক্ষোভ শুরু করে। আন্তর্জাতিক নানা পর্যবেক্ষক দলও ভোটে অস্বচ্ছতার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায়। লুকাশেঙ্কো এ সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন।
বিক্ষোভ দমনে শুরু থেকেই বলপ্রয়োগ করে আসছে প্রশাসন। চলমান বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।