বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আশা করছি, ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।’
অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল রিজার্ভের অর্থ দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহার করা সম্পর্কে বলেন, ‘ভালো প্রজেক্টে সরকার স্পন্সর হিসেবে থাকতে পারে। এ ধরনের প্রজেক্টে অর্থায়ন করলে একদিকে আমাদের ঋণ বাড়ল না, বরং আমাদের টাকাটা নিজের ঘরেই রয়ে গেল।’
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুভার্বের পরে বিশ্বব্যাপী অর্থের চাহিদা কমে গেছে। ফলে এখন কোনো বিদেশি ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখা তেমন লাভের অবস্থানে নেই। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩৬ বিলিয়ন ডলার, এরপর ৩৯ বিলিয়ন ডলারে এবং সর্বশেষ ৪১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছাড়াও বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, জাইকা এবং এআইআইবির থেকে প্রাপ্ত ঋণ সহায়তারও ভূমিকা রয়েছে।