বড়াইগ্রামে মোবাইল ফোন না পেয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

নাটোরের বড়াইগ্রামে একটি মোবাইল ফোন না পেয়ে বাবার ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে সজনী খাতুন (১৭) নামে এক স্কুলছাত্রী।

শনিবার (১৮ জুলাই) সকালে উপজেলার বড়াইগ্রাম পৌরসভার লক্ষীকোল পুরাতন হলমোড় এলাকার উজ্জল হোসেনের বাড়ী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সজনী কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার শিপন রানার মেয়ে এবং বড়াইগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। শিপন রানা মালোয়েশিয়া প্রবাসী। তিনি মলোয়েশিয়া যাওয়ার সময় লক্ষীকোল এলাকায় উজ্জলের বাসা ভাড়া নিয়ে পরিবার রেখে যান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সজনী শুক্রবার রাতে বাবার সাথে অনলাইনে কথা বলেন এবং ঈদে এন্ড্রয়েট মোবাইল কিনতে চান। তার বাবা অর্থনৈতিক সমস্যার কথা বলে কিছুদিন সময় চান। এতে অভিমান করে নিজ ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়েন। এরপর রাতের কোন এক সময় সে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্নহত্যা করে। সকালে তার মা ডাকাডাকি করেও দরজা না খুললে অন্য রুম দিয়ে উঁকি দিয়ে মেয়েকে ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে চিৎকার করে জ্ঞান হারান।পরে প্রতিবেশিরা এসে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

আরও পড়ুন: চকরিয়া পৌরসভার কাউন্সিলরের উপর সন্ত্রাসী হামলা; এক হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ কুমার দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে মোবাইল ফোনের জন্য অভিমানে সজনী আত্নহত্যা করে থাকতে পারে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *