খুলনায় রহিমা বেগমের আত্মগোপনের পুরোটাই ছিল পূর্বপরিকল্পিত। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ ফাঁসানোর জন্যই এ কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান; এমন তথ্যই জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ আরও জানায়, আত্মগোপনের নাটকের ব্যাপারে জানতো তার বাকি মেয়েরাও। ঘটনার পর থেকে লাপাত্তা পরিবারের বাকি সব সদস্যরা। তবে মায়ের আত্মগোপনে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে মরিয়ম মান্নান। সেই সাথে অক্ষত অবস্থায় মাকে ফিরে পাওয়ায় তিনি সন্তোষ জানিয়েছে।
গতকাল(২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ফরিদপুর থেকে অক্ষত অবস্থায় রহিমাকে উদ্ধার করেছে খুলনা পুলিশ। এরপর তাকে নিয়ে রাখা হয় খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ‘ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে’। এরপর তাকে হস্তান্তর করা হয় পিবিআইয়ের কাছে।
পিবিআই জানিয়েছে, স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন রহিমা বেগম। সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আসল রহস্য জানা যাবে।
রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান জানান, আমার মাকে উদ্ধার করেছে পিবিআই ও দৌলতপুর থানা পুলিশ। এ সংবাদ আমাদের জন্য, আমার জন্য একটি ভালো সংবাদ। এরথেকে খুশির সংবাদ আমাদের জন্য আর নেই। এখন আমি আমার মায়ের সাথে কথা বলতে চাই।
খুলনা পিবিআই’র পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রহিমা বেগমকে যখন উদ্ধার করি, তার আগে পর্যন্ত তিনি কুদ্দুস সাহেবের বাসায় ছিলেন। আমি এই বার্তাটিই গণমাধ্যমের মধ্যমে সবাইকে দিয়ে দিলাম, আল্লাহর রহমতে রহিমা বেগম ভালো আছেন। সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমরা প্রকৃত ঘটনা বুঝতে সক্ষম হবো।
মর্নিংনিউজ /আই/শাশি