মোংলা বন্দরের বিদেশী জাহাজ কেন্দ্রিক গড়ে ওঠা সংঘবদ্ধ চোরাচালানী চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে বন্দরের প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে গড়ে ওঠা এ চক্রের শক্তিশালী সদস্যরা বন্দরে আগত একটি বিদেশী জাহাজ থেকে নদী পথে নৌযান যোগে ৩৯টি ড্রামে ১৯৫০ লিটার লুব ওয়েল (জ্বালানী তেল) ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ, সোলার প্যানেল, ব্যাটারি, গ্যাসের চুলা, গ্যাসের সিলিন্ডারসহ কয়েক লাখ টাকার বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র অবাধে পাচার ও লুটপাট করে নিয়ে আসছিল।
গোপন সূত্রে এ খবর পেয়ে কোস্টগার্ড মোংলা (পশ্চিম) জোনের সদস্যরা পশুর নদীর জয়মনী এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাচালানী চক্রের পাচার করে আনা নৌযান বোঝাই চোরাচালানের এসব পণ্যসহ ৩ চোরাচালানীকে আটক করে রবিবার রাতে মোংলা থানায় হস্তান্তর করে কোষ্টগার্ড।
জাহাজ থেকে জ্বালানী তেল পাচারের সময় আটক তিন চোরাকারবারীকে আজ সকাল সাড়ে ১১টায় আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আটককৃত চোরাকারবারীরা হলেন, চাদঁপাই ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকার বুলু খাঁ’র ছেলে নিয়ামুল খাঁ, পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের জয় বাংলা সড়কের রফিকুল ইসলাম ও একই এলাকার মৃত মিনহাজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে হারুন হাওলাদার।
মোংলা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধূরী জানান, আটক তিন চোরাচালানীর বিরুদ্ধে রবিবার রাতে কোষ্টগার্ড কর্মকর্তা বুলবুল আহাম্মেদ বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে। সকাল ১১টায় আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৭ আগস্ট রাতে পশুর নদীর হারবাড়িয়া জোংড়ার খাল এলাকা থেকে জাহাজ থেকে চোরাই পথে পাচারের সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫০ ব্যারেল ডিজেল তেল আটক করে। এ সময় চোরাচালানী চক্র কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে তেল বোঝাই তাদের ট্রলারটি নদীতে ডুবিয়ে দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে জব্দকৃত তেল মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়।