যথাসময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনার কারণে শুধু শিক্ষাব্যবস্থা নয়, গোটা জাতি যেভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, সরকার তা হারে হারে উপলব্ধি করছে। অনেক কিছু খুলে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও যথাসময়ে খুলে দেয়া হবে। তাই হতাশ না হয়ে করোনাকে বৈশ্বিক বাস্তবতা মেনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরতে হবে।

শনিবার (১৫ আগস্ট) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সভায় যুক্ত হন।

গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে সভায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, ইউএস-বাংলা গ্রুপের সিইও লে: জে: মো. মইনুল ইসলাম (অব:) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বক্তৃতা করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষা জীবনের জন্য, জীবিকার জন্য নয়। জীবন নির্বাহ প্রয়োজন আছে, কিন্তু সেটা শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য নয়। আমরা পরীক্ষার্থী চাই না। আমরা শিক্ষার্থী চাই; যারা লেখাপড়া করে পরীক্ষা দেবে। পরীক্ষায় পাস করা যে শিক্ষাব্যবস্থা, আমরা সেই শিক্ষা চাই না। তিনি আরো বলেন, বাংলার ইতিহাস যেমন অর্জনের, তেমনি বিশ্বাসঘাতকতারও। ১৫ আগস্টের ন্যক্কারজনক ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে। যদিও যে বুলেট আমাদের কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুকে কেড়ে নিয়েছিল, সেই বুলেটই পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছে। খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে।

সভায় খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণমাধ্যমে দেখেছি তারা নাকি আজ কেক কাটবে না। সত্যিই যদি তাদের এই শুভবুদ্ধির উদয় হয়ে থাকে, তবে ধন্যবাদ।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যা ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা এক সূত্রে গাঁথা। কিন্তু ইতিহাস কোনো অপারাধীকেই ক্ষমা করেনি। আজ অনেকেই মানবাধিকারের কথা বলেন। কিন্তু তারা কি আজ পর্যন্ত কোনো হত্যার বিচার করতে পেরেছে? পারেনি। বরং ২১ আগস্টের ঘটনাকে জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে। সুতরাং মানবাধিকারের কথা তাদের মুখে মানায় না।

আরও পড়ুন: প্লাজমা সেন্টারের উদ্বোধন করল গণস্বাস্থ্য

সভাপতির বক্তব্যের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, জীবনের প্রতিটি পর্যায়েই অসীম সাহসিকতা দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। সেটা যেমন দেশীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিল, তেমনি ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও। আর এভাবেই তিনি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির মুক্তি এনে দিয়েছিলেন।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারপার্সন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা অংশ নেন। সভা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *