প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ঘোষণার তিন বছর পর বিশ্বের প্রথম কোনো দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। বুধবার (০৪ নভেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ সালে চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা কার্যকর হয়।
যুক্তরাষ্ট্র মূলত এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের গতি ধীর করার জন্য যে প্রচেষ্টা রয়েছে তার বিরুদ্ধে এককভাবে অবস্থান নিল। দেশটিতে যেদিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং ভোট গণনার কাজ চলছে সেদিনই প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশিত হলো।
জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা প্যাট্রিসিয়া এসপিনোসা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে চলে যাওয়ার কারণে একটি শূন্যতা তৈরি হবে এবং এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন বাধার সম্মুখীন হবে। যুক্তরাষ্ট্র এখনো জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের একটি পক্ষ। জাতিসংঘ দেশটিকে এই চুক্তিতে ফিরে আসার ব্যাপারে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
প্যারিসের জলবায়ু চুক্তির চূড়ান্ত খসড়ার উল্লেখযোগ্য দিকগুলো হচ্ছে :
১। চলতি শতকের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনা এবং এই গ্যাসের উৎপাদন ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য আনা।
২। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে রাখা। সম্ভব হলে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখার চেষ্টা করা।
পরবর্তী সময়ে কী হবে।