রাজনীতিতে অস্তিত্বের জানান দিতে বাস পোড়াতে হবে কেন?- বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি

তথ্যমন্ত্রী

রাজনীতিতে অস্তিত্বের জানান দিতে বাস পোড়াতে হবে কেন- এমন প্রশ্ন রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম মহান নেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি মানুষ পোড়ানোর নোংরা খেলায় মেতেছে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট, বিএনপি বাসে আগুন দিয়েছে। ২০১৩ সালের মতো বাসে আগুন নিয়ে আবারো নোংরা খেলায় মেতে ওঠেছে। বাস পুড়িয়ে আবার তাদের নেতারা অবলীলায় মিথ্যা বলছে। তারা যদি আগুন নিয়ে খেলে, নিজেরাই সেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, মিথ্যা বলার জন্য যদি কোনো পুরস্কার থাকতো, তাহলে নিঃসন্দেহে প্রথম পুরস্কার পেতেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর।

বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা দলছুট। তাদের দলের অনেক বড় বড় নেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর অনুসারী ছিলেন। কিন্তু তারা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গ্রহণের জন্য সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের সঙ্গে হাত মেলান। পরবর্তীতে তাদের দলের নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাত মেলান।দলছুট নেতারা কখনো দেশকে কিছু দিতে পারে না। দলছুট রাজনীতিবিদরা দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারে না। তারা শুধু নিজেদের আখের গোছাতে জানে।

হাছান মাহমুদ বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পর এদেশে জমিদার শ্রেণির হাতে রাজনীতি বন্দি ছিল, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী রাজনীতিতে সাধারণ মানুষের কাতারে নিয়ে আসেন। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ভাসানী আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেন। রাজনীতির ইতিহাসে ভাসানীর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। মওলানা ভাসানী ক্ষমতার জন্য কোনোদিন রাজনীতি করেননি। যদি সেই লোভ থাকত, তিনি পাকিস্তানের মন্ত্রী হতে পারতেন।

হাছান মাহমুদ বিএনপি নেতাদের মওলানা ভাসানীর আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করতে আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত আসিফ নজরুল

ন্যাপ (ভাসানী) চেয়ারম্যান এম এ ভাসানীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, আওয়ামী লীগ নেতা বলারাম পোদ্দার, কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এম এ করিম, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আজগর আলী, নারী নেত্রী উর্মি খান, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ব গণি মিয়া বাবুল প্রমুখ।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *