দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্তের দিন থেকে গত মাস পর্যন্ত সবচেয়ে কম সংক্রমিত জেলা ছিল লালমনিরহাট। জনসচেতনতার অভাবে দিন দিন ক্রমেই করোনা সংক্রামণ বৃদ্ধি পেয়ে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
গত রোববার (৫ জুলাই) পর্যন্ত জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় ১২, কালীগঞ্জ উপজেলায় ২ ও সদর উপজেলায় ১ জনসহ এ মাসের প্রথম পাঁচদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৮ জন। গত ৩ মাসে শনাক্ত হয় ১১৩ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৭১ জন।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাটে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় গত ১১ এপ্রিল। ঐদিন ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ঐ মাসের বাকি ১৯ দিনে আরো দুইজনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। ফলে এপ্রিল মাস শেষে জেলায় মোট শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ জনে। প্রথম করোনা শনাক্তের পর প্রথম দুই মাসে ৪৪ জন শনাক্ত হয়। তৃতীয় মাসে এই সংখ্যা পৌঁছায় ৬৯ জনে। আর চতুর্থ মাসের প্রথম ৫ দিনেই শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৮ জনে।
আরো জানা গেছে, গত ৩ জুলাই একদিনেই সর্বাধিক ২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। অনেকটা আকস্মিকভাবে দ্রুত করোনা সংক্রমণ বাড়ছে পাটগ্রাম উপজেলায়। জেলার পাঁচ উপজেলার মধ্যে ঐ উপজেলায় হঠাৎ সংক্রমিতের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়তে শুরু করেছে। ঐ উপজেলায় মোট ৬৪ জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২ জন।
আরও পড়ুন: শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন এন্ড্রু কিশোর
সচেতন মহল মনে করছেন, করোনা সংক্রামণরোধে লালমনিরহাটের মানুষকে সরকারি প্রচার-প্রচারনা চালিয়েও সর্তক করা যাচ্ছে না। দোকানে, শপিং মলে, হাটবাজারে, পাড়ার মোড়ের দোকানে অহেতুক মানুষের ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়ি দেখলে দ্রুত মানুষ সটকে পড়ছে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী চলে গেলে বা অন্যত্র পরিদর্শনে গেলে পুনরায় ভিড় করছে মানুষ।