লালমনিরহাটে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে অমানুষিক নির্যাতন!

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে যৌতুকের টাকা না পেয়ে মুক্তা (২৩) নামে এক গৃহবধূকে বর্বর নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে মোস্তফা মিয়া মোস্ত (৩২) নামে এক পাষন্ড স্বামীর বিরুদ্ধে। মোস্তফা মিয়া মোস্ত উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের আফজাল হোসেনের ছেলে।

রবিবার (৩ জানুয়ারী) সকাল ৬ টার দিকে উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের পূর্ব চলবলা এলাকায় ঘটে এমন ঘটনা।

ঘটনার শিকার গৃহবধূ মুক্তা বেগম (২৩) উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের উঃ দলগ্রাম বরন্তর এলাকার মোকছেদ আলীর মেয়ে।

নির্যাতনের স্বীকার মুক্তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোনারহাট এলাকার আফজাল হোসেনের পুত্র মোস্তফা মিয়া(৩২) এর সাথে ৫ বছর পূর্বে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক ও রেজিষ্ট্রী মুলে মোকছেদ আলীর মেয়ে মুক্তা বেগমের বিবাহ হয়।

বিবাহের সময় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ছেলের পিতা ও মাতার মাধ্যমে নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও মেয়ের ব্যবহারের জন্য দুই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার আনুমানিক মূল্য, ১ লক্ষ ৫০হাজার টাকা মোস্তফা মিয়ার নিকট বুঝাইয়া দেয়। বেশ ভালই চলছিল তাদের সংসার। এরই মধ্যে তাদের কোলজুড়ে একটি কন্যা সন্তানও আসে।

বিবাহের পর হইতেই মা-বাবার কু-পরামর্শে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কটি যেন ক্রমশ তিক্ত হতে থাকে। মুক্তাকে পুনরায় যৌতুকের এক লক্ষ টাকা নিয়ে আসতে চাপ সৃষ্টি করে তার স্বামী মোস্তফা। এক পর্যায়ে যৌতুকের চাহিদা মেটাতে না পারায় মুক্তার উপর নেমে আসে বর্বর নির্যাতন।

সবশেষে রবিবার ৩ জানুয়ারী সকাল ৬ টার দিকে মোস্তফা পুর্বের ন্যায় যৌতুকের জন্য চাপ দেন মুক্তাকে। যৌতুকের টাকা আনতে অস্বীকার করায় স্বামী মোস্তফার বাবা মায়ের কু-পরামর্শে লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছিলা ফুলা জখম করে অজ্ঞান করে মাটিতে ফেলে রাখে।

মুক্তাকে নির্যাতনের খবর পেয়ে তার বাবা মোকছেদ আলী কালীগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় মুক্তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ভর্তির তারিখ ৩/২০২১ বেড নং-২০।

এ বিষয়ে নির্যাতনের স্বীকার মুক্তা জানান, বিয়ের পর ভালই কেটে ছিল তাদের সংসার। হঠাৎ করেই তার স্বামী পরিবার যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় তার উপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন।

এ বিষয়ে মুক্তার বাবা মোকছেদ আলী কান্নাজড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদককে জানান, “আমার মেয়েকে তারা যৌতুকের কারনে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলেছে আমি এর বিচার চাই।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *