সমস্যা নিয়ে অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন জবির ৬০ ভাগ শিক্ষার্থী

পরীক্ষা
ফাইল ছবি

দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন সংযোজন অনলাইন ক্লাস। করোনা সংকটের মধ্যেও অনলাইনের সুবাদে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও পাবলিক ও বেসরকারি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে সমানতালে চলছে ক্লাস। সম্প্রতি “ক্যাম্পাস গুঞ্জন” ফেসবুক পেইজ এবং “জবিয়ান সংকট ও উত্তরণ” গ্রুপ মিলে চালিয়েছে একটি গবেষণা জরিপ। মূলত অনলাইন শিক্ষায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষার সার্বিক অবস্থা চিত্রায়ন করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থরদের নিয়ে জরিপ চালানো হয়। সংশ্লিষ্টরা দাবি, জরিপে প্রাপ্ত তথ্যাদি থেকে তথ্য-প্রযুক্তির বৈষম্য অর্থাৎ ডিজিটাল বৈষম্য বেশ ভালভাবেই প্রমানিত।

ডিজিটাল বৈষম্যের কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে,  প্রথমত ইন্টারনেট সংযোগ না থাকা। ইন্টারনেটের গতির তারতম্য (কোথাও কম, কোথাও বেশি)। দ্বিতীয়ত, সবার কাছে ডিজিটাল ডিভাইস না থাকা। তৃতীয়ত ইন্টারনেট সুলভ না হওয়া।

জরিপে অংশ নেন জবির বিভিন্ন বিভাগের ৩২৪ জন শিক্ষার্থী। অনলাইন ক্লাস কি বর্তমানে সময়োপযোগী পদক্ষেপ বলে মনে করছেন? এতে ২১০ জন শিক্ষার্থীর উত্তর ছিলো হ্যাঁ যা শতকরা ৬৪.৮১% ও না উত্তর দিয়েছেন ১১৪ জন শিক্ষার্থী যা শতকরা ৩৫.১৯%।

দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিলো, অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহন করতে আপনার কোন সমস্যা আছে কি? এখানে হ্যাঁ অর্থাৎ সমস্যা আছে ১৯৭ জনের যা শতকরা ৬০.৮০% ও না অর্থাৎ সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন বাকি ১২৭ জন যা শতকরা ৩৯.২০%।

তৃতীয় প্রশ্ন, অনলাইন ক্লাসের রেকর্ড ভিডিও কি আপনার কোর্স টিচার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক/ইউটিউবে আপলোড করে? এখানে হ্যাঁ অর্থাৎ করে বলে জানিয়েছেন ১২৯ জন শিক্ষার্থী যা শতকরা ৩৯.৮১% আর না অর্থাৎ করে না বলে জানিয়েছেন ১৯৫ জন শিক্ষার্থী যা শতকরা ৬০.১৯%।

চতুর্থ প্রশ্ন, অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহন করতে আপনার প্রতিবন্ধকতা কোনটি/কোনগুলি?
এখানে ,প্রয়োজনীয় ডিভাইস নেই ৫০ জনের বা ১৫.৪৩% এর, পর্যাপ্ত ডেটার অভাব ১৮৩ জনের বা ৫৬.৪৯% এর,নেটওয়ার্ক সমস্যা ১৯৫ জনের বা ৬০.১৯% এর। কোন সমস্যা নেই ৫০ জনের বা ১৫.৪৩% এর। প্রয়োজনীয় ডিভাইস নেই এবং পর্যাপ্ত ডেটার অভাব ৬ জনের বা ১.৮৫% এর।

প্রয়োজনীয় ডিভাইস নেই এবং নেটওয়ার্ক সমস্যা ৫ জনের বা ১.৫৪% এর। পর্যাপ্ত ডেটার অভাব এবং নেটওয়ার্ক সমস্যা ৯০ জনের বা ২৭.৭৮% এর। পর্যাপ্ত ডেটার অভাব, প্রয়োজনীয় ডিভাইস নেই এবং নেটওয়ার্ক সমস্যা ২৩ জনের বা ৭.১০% এর।

পঞ্চম প্রশ্নটি ছিলো, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমকে সকল শিক্ষার্থীর জন্য সহজলভ্য করতে কি কি পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে?

এখানে শিক্ষার্থীদের মতামত থেকে কিছু বিষয় সামনে উঠে এসেছে যেমন, ডেটা প্যাক প্রদান করা, ক্লাসের রেকর্ডেড ভিডিও’র পাশাপাশি পিডিএফ ফাইল প্রদান করা, সপ্তাহে ক্লাস নির্দিষ্ট ৩ দিনে নিয়ে আসা, এতে প্যাকেজ নিতে সুবিধা হবে, অর্থসংকটে যেসব শিক্ষার্থী ডিভাইস কিনতে পারেনি তাঁদের জন্য ডিভাইসের ব্যবস্থা করা, সিম কোম্পানিগুলোর সাথে চুক্তিতে আসা, এতে করে শিক্ষার্থীরা সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট সেবা পাবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *